বিনোদন ডেস্ক : হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত রাহুল নভলানি। তাকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
জানা যায়, অভিযুক্ত রাহুল সপরিবারে ভারত ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছেন জানতে পেরে পুলিশ লুকআউড নোটিস জারি করে। রাহুল ও তার স্ত্রীকে ধরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, নিজের সুইসাইড নোটে সাবেক প্রেমিক রাহুল নভলানিকে দায়ী করে গেছেন প্রয়াত অভিনেত্রী বৈশালী। রোববার (১৬ অক্টোবর) নিজের বাড়ি থেকে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট।
অভিনেত্রীর ভাইয়ের দাবি ছিল, রাহুল প্রায়দিনই বিভিন্নভাবে বৈশালীকে হেনস্থা করতেন, হুমকি দিতেন। হয়রানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে রাহুল নভলানি ও তার স্ত্রী দিশা নভলানির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বৈশালীর সাকেব প্রেমিক রাহুল ও তার স্ত্রী দিশা মধ্যপ্রদেশে বৈশালীর প্রতিবেশী। ভারতীয় দন্ডবিধি ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। যাতে বলা হয়, বৈশালীকে দিনের পর দিন হয়রানি করেছে এই দম্পতি, যার জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
পুলিশ জানায়, বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বৈশালী। কিন্তু বারবার তার বিয়েতে বাধা দিচ্ছিলেন সাবেক প্রেমিক রাহুল। বৈশালীর সুইসাইড নোটে সেকথাই উল্লেখ রয়েছে।
ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, এই তদন্তে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরও তদন্ত চলছে। রাহুল ও দিশা ছাড়াও এই ঘটনায় দোষীর তালিকায় রয়েছে আরেক ব্যক্তির নাম। তিনি হলেন রোহিত। সম্পর্কে তিনি রাহুলের স্ত্রী দিশার ভাই।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কহলাতা হে’ ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন বৈশালী। সেখানে তার চরিত্রের নাম ছিল ‘সঞ্জনা’। ২০১৬ পর্যন্ত সেখানে অভিনয় করেন তিনি।
এরপর একে একে ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’, ‘বিষ ইয়া অমৃত’, ‘সসুরাল সিমর কা’র মতো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। বৈশালীকে শেষ দেখা যায় ‘রক্ষাবন্ধন’ নামক টিভি শোতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।