মামি ভাগ্নের প্রেম ঘিরে বজবজে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার অন্তর্গত পাইকপাড়া এলাকায় পরিবারের বাধার মুখে ভিডিও কলে আত্মহত্যা করলেন এক যুগল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক তরুণী ও তার দূঃসম্পর্কের ভাগ্নে একে অপরের প্রেমে পড়েন। কিন্তু সম্পর্কটি ছিল সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, ফলে পরিবার চরম আপত্তি জানায়।
Table of Contents
ভাগ্নে রকির সঙ্গে গোপন সম্পর্ক
রিপোর্ট অনুযায়ী, রণজিৎ ও অনন্যা নামে এক দম্পতির বৈবাহিক জীবনে হঠাৎই প্রবেশ করে রণজিতের পিসতুতো ভাইপো রাকেশ ওরফে রকি। রকি ও অনন্যার মধ্যে একাধিকবার দেখা-সাক্ষাৎ ও কথোপকথনের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অনন্যার কাছে রকি ছিল স্মার্ট ও আকর্ষণীয়। সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে।
পরিবারের বাধা ও বিষণ্ণতার পরিণতি
পরিবারের একাধিক সদস্য সন্দেহ করলেও “মামি ভাগ্নের প্রেম” বিষয়টি সামাজিকভাবে অস্বাভাবিক মনে করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে রকির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে যে, রকি তার আয়ের বড় একটি অংশ মামির পেছনে খরচ করতেন। পরিবারের এমন চাপ, সামাজিক চোখরাঙানি ও মানসিক যন্ত্রণার জেরেই হয়তো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন দু’জন।
ভিডিও কলে শেষ বার্তা
জানা গেছে, সোমবার রাতে দুইজনই আলাদা আলাদাভাবে নিজ নিজ বাড়ি থেকে মোবাইলে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন এবং সেই মুহূর্তেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। দ্রুত অনন্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রকির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।
পুলিশি তদন্ত চলছে
বজবজ থানার পুলিশ দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে এবং আত্মহত্যার পেছনে প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পরিবারগুলিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
সামাজিক বার্তা
মামি ভাগ্নের প্রেম নিয়ে এমন ঘটনা আবারও সমাজে প্রশ্ন তুলেছে যে, সম্পর্কের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও সহানুভূতি ও কাউন্সেলিং হয়তো এই ধরনের বিপর্যয় রোধ করতে পারত। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা বারবারই ঘটবে।
📌 প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন (FAQs)
বজবজের এই মামি-ভাগ্নে আত্মহত্যার পেছনে কারণ কী?
পরিবারের বাধা এবং সামাজিক নিষেধের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এবং প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
তারা কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন?
ভিডিও কলে সংযুক্ত থাকাকালীন একইসঙ্গে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার ও পুলিশের দাবি।
এই সম্পর্কটি কীভাবে গড়ে উঠেছিল?
অনন্যা ও রকি পারিবারিকভাবে মামি ও ভাগ্নে হলেও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তদন্ত কোন পর্যায়ে?
দুইটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষায় রয়েছে।
এই ঘটনা থেকে কী বার্তা পাওয়া যায়?
সম্পর্কের জটিলতা থাকলেও সহানুভূতি ও সচেতনতা দিয়ে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।