বিনোদন ডেস্ক : ইয়ামি গৌতম। বলিউড অভিনেত্রী। কখনও বিতর্কে জড়াতে পছন্দ করেন না তিনি। প্রথম সিনেমা ‘ভিকি ডোনার’-এ নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। শুধু বলিউডে নয়, ওটিটিতেও নিজের মেধার প্রমাণ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ইয়ামি অভিনীত নতুন সিনেমা ‘ওএমজি ২’। নতুন ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি
আপনার অভিনীত ‘ওএমজি ২’ নিয়ে জানতে চাই।
ঈশ্বর আছেন কিনা, এর প্রমাণ মানুষ আস্তিক বা নাস্তিক হয়ে দিতে পারে। কিন্তু ঈশ্বর নিজের সৃষ্ট মানুষের মধ্যে কখনও ভেদাভেদ করেন না। প্রথমবার এ ছবির চিত্রনাট্য পড়ে মনে হয়েছিল, এই গল্পটা বলা দরকার। নতুন কিছু করতে গেলে তো সবসময় একটা আলাদা উত্তেজনা হয়। তেমনটা আমারও হয়েছিল। ছবিটিকে আমরা কোর্ট রুম ড্রামাও বলতে পারি। এ ছবিতে আমি একজন আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি।
ছবিটি নিয়ে তো অনেকেই নেতিবাচক কথা বলেছেন!
যারা বলেছেন তারা না দেখে বলেছেন। আমি বলব, যখন কেউ ছবিটি দেখবেন, তারা এতে সন্দেহের কিছু পাবেন না। এ ছবিতে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে তা শিশুদের শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। ‘স্পেশাল স্ক্রিনিং’-এ কেমন সাড়া পেলেন? দারুণ। সবাই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। সবার উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি আপ্লুত।
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন লেগেছে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে?
এককথায় বলতে গেলে দারুণ। তিনি দারুণ একজন মানুষ। দারুণ একজন অভিনেতা। একজন ভালো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করলে নিজের অভিনয়ও আপনাআপনি ভালো হয়। আর অক্ষয় কুমার? অক্ষয় স্যারের কথা কী বলব, দারুণ চার্মিং মানুষ। এ সিনেমায় তিনি দারুণ করেছেন। আশা করছি, ছবিটি দর্শককে নিরাশ করবে না।
আপনার বলিউড যাত্রায় পেছন ফিরে দেখলে কী মনে হয়?
আমার সফর এখনও চলছে। আমি জীবনে অনেক ওঠা-পড়া দেখেছি। শেষ পর্যন্ত সব পুষিয়ে গেছে। আমার প্রথম ছবির সাফল্যের পর দিশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কী করব, কোন পথে এগোব। ওই সময় আমার কাছে অনেক সুযোগ এসেছিল। সেগুলো ধরতে পারিনি। আমি বুঝেই উঠতে পারিনি যে আর কাজ করব কিনা, নতুন সুযোগ নেব কিনা। পুরো বিষয়টায় ধাতস্থ হতে আমার বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল। এরপর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম। বুঝলাম, কেন আমি আমার শহর-বাড়ি ছেড়ে বলিউডে এসেছি, আমায় কী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমি খুবই ভাগ্যবান যে যতগুলো কাজ করেছি, দর্শকের কাছে প্রতিটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করেছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার দুটো লক্ষ্য থাকে– ভালো অভিনয় করা আর দর্শক যেন আমাকে দেখে সিট ছেড়ে উঠে না যান।
স্বামী আদিত্যর [ধর] পরিচালনায় আবার কবে কাজ করবেন?
[হাসি] সেটা আমিও জানতে চাই। এ মুহূর্তে আদিত্য অনেক কাজের মধ্যে ডুবে আছে। একজন পরিচালকের পাশাপাশি ও একজন স্ক্রিপ্ট রাইটারও। খুব তাড়াতাড়ি আদিত্য ওর নতুন কাজ ঘোষণা করবে। ফিল্ম নিয়ে ভীষণ প্যাশনেট ও। নিজের ফিল্মকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।
আপনার মনের সুপ্ত বাসনা কী?
অনেক বাসনা রয়েছে। তবে একটা বাসনা খুব বেশি প্রকট, তা হলো– আমি যেহেতু হিমাচলের মেয়ে, আমার ইচ্ছে আছে পাহাড়ে একটি বাড়ি করার। শহরের এই ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গল থেকে নিজেকে মুক্ত করে শান্ত পরিবেশে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাব।
এটা কি বৃদ্ধ বয়সের জন্য?
একদমই না। আমি এখন এ রকমটাই চাই। পরিবারও সেটা জানে। জীবন খুবই ছোট। আমি ভবিষ্যতের জন্য কিছু তুলে রাখতে চাই না। আমার ইচ্ছে এখন থেকে এ রকম একটি শান্তির জীবন কাটানোর। তা পারছি না। কারণ পাইপলাইনে একের পর এক কাজ রয়েছে।
কোন বিষয়টি আপনার জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকলেই মানুষ শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই সুস্থ থাকবে। মন ভালো না থাকলে শরীর ভালো থাকে না। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি মস্তিষ্কটাকে ঠিক রাখতে এবং মনটা যাতে ভালো থাকে। আমাদের পেশায় প্রতিদিনের কাজে আমি জানি অনেক সময় ডিপ্রেশন আসে, সেটিকে একেবারেই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত না। এমন কাজ করতে হবে, যাতে আমরা মনটাকে ভালো রাখতে পারি। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি। ছবি, ক্যারিয়ার– এগুলো তো পার্ট অব লাইফ। মূলমন্ত্র তো অবশ্যই ভালো থাকা এবং ভালো রাখা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।