বিনোদন ডেস্ক : বলিপাড়ার বহু নায়িকা বড় পর্দায় এমন অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন যাঁরা বাস্তব জীবনে পিতা-পুত্র। কিন্তু রোম্যান্স কি আর বয়সের ধার ধারে? কোনও ছবিতে নায়িকা এক অভিনেতার সঙ্গে জুটি বাঁধলে পরে কোনও ছবিতে সেই অভিনেতার পুত্রের সঙ্গে প্রেম করেছেন। বলি নায়িকাদের এই তালিকায় হেমা মালিনী, শ্রীদেবী থেকে রানি মুখোপাধ্যায়, মাধুরী দীক্ষিতের নাম রয়েছে।
পাঁচ দশকের কেরিয়ারে হিন্দি থেকে শুরু করে দক্ষিণী ফিল্মজগতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন শ্রীদেবী। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চালবাজ’ ছবিতে ধর্মেন্দ্র-পুত্র সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী।
‘চালবাজ’ মুক্তির এক বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘নাকা বন্দি’। এই ছবিতে ধর্মেন্দ্রের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় শ্রীদেবীকে।
বলি অভিনেতা সইফ আলি খানের প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংহ বর্তমানে বলিপাড়া থেকে দূরে সরে গেলেও আশি থেকে নব্বইয়ের দশকের মধ্যে অভিনয়জগতে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন। বাস্তবের পিতা-পুত্রের সঙ্গে বড় পর্দায় জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল অমৃতাকে।
১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ নামের হিন্দি ছবির মাধ্যমে বলিপা়ড়ায় পা রেখেছিলেন অমৃতা। এই ছবিতে সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
‘বেতাব’ মুক্তি পাওয়ার ছ’বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সচ্চাই কি তাকত’। এই ছবিতে সানির বাবা ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধেছিলেন অমৃতা।
বলিউডের ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনী ১৯৬৮ সালে ‘স্বপ্নো কা সওদাগর’ ছবির হাত ধরে বলিপাড়ায় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এই ছবিতে রাজ কপূরের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল হেমাকে।
রণধীর কপূর ছিলেন রাজ কপুরের পুত্র। রণধীরের সঙ্গেও পর্দায় রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছিল হেমাকে। ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাত কি সাফাই’ ছবিতে রণধীরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন হেমা।
ধর্মেন্দ্র এবং সানির পিতা-পুত্রের জুটির সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ডিম্পল কপাডিয়াকেও। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মঞ্জিল মঞ্জিল’ ছবিতে সানির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ডিম্পল।
সানির সঙ্গে জুটি বাঁধার সাত বছরের মাথায় ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ডিম্পল। ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুশমন দেবতা’ ছবিতে ধর্মেন্দ্রের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৮৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘দয়াবান’। এই ছবিতে বিনোদ খন্নার সঙ্গে বড় পর্দায় সম্পর্কের রসায়ন বুনেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।
‘দয়াবান’ মুক্তির এক দশক পর ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মহব্বত’ ছবিতে বিনোদ খন্নার পুত্র অক্ষয় খন্না অভিনয় করেছিলেন। অক্ষয়ের বিপরীতে এই ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন মাধুরী।
‘বান্টি অওর বাবলি’, ‘যুবা’ এবং ‘কভি অলবিদা না কহেনা’র মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন এবং রানি মুখোপাধ্যায়।
২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ব্ল্যাক’। এই ছবিতে রানির শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। জুটি না বাঁধলেও রানি এবং অমিতাভকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।