বিনোদন ডেস্ক : পর্দায় সাহসী শামা সিকান্দারও ‘কাস্টিং কাউচ’ এড়াতে পারেননি। এই অভিনেত্রী জানালেন, অভিনয় জীবনের শুরুতে কীভাবে বন্ধুত্বের ছলে তাকে যৌ,ন,তা,র প্রস্তাব দেওয়া হত। বলিউডলাইফকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলিউডের এই অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেন মায়া তারকা।
তবে তিনি একইসঙ্গে বলেছেন, পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে। এখনকার তরুণ প্রযোজকদের আচরণ বেশ পেশাদার। সে.ক্সহোলিক, মায়ার মতো হালের ওয়েব সিরিজ করে আলোচিত শামার বলিউডে অভিষেক বেশ আগে। ১৯৯৯ সালে আমির খানের সিনেমা ‘মন’ এও দেখা গিয়েছিল তাকে।
সাক্ষাত্কারে শামা বিনোদন জগতে আসার পর নিরাপত্তাহীনতা বোধ করার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “অতীতে প্রযোজকরা আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইত। বিষয়টি ছিল এমন, বন্ধুত্ব না হলে একসঙ্গে কাজ করব কীভাবে। তবে আমি বুঝতে পারতাম, এটা হচ্ছে সেক্সের বিনিময়ে কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা। কী নিচতা! বুঝতে পারেন, আপনি কতটা অনিরাপদ অবস্থায় আছেন।”
এক সময় এমন সব ঘটনা চাপা থাকলেও হলিউড-বলিউডে গত কয়েক বছরে সাহসী হয়ে অনেক অভিনেত্রীই তাদের যৌন হেনস্তার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হলেন শামা। শামা যাদের কাছ থেকে বিরূপ অভিজ্ঞতা পেয়েছেন, তাদের অনেকে প্রযোজক-পরিচালক হিসেবে বলিউডে ‘সুপ্রতিষ্ঠিত’ বলে দাবি করেন তিনি।
“এর মধ্যদিয়ে বোঝা যায়, অর্গানিক পদ্ধতিতে একজন নারীর হৃদয় জয় করতে পারার মতো আত্মবিশ্বাস নেই তাদের মাঝে। তবে কাস্টিং কাউচ শুধু বলিউডে নয়, সবখানেই আছে।” তবে এখন পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন দেখা কথা জানিয়ে শামা বলেন, তরুণ প্রযোজকরা ব্যতিক্রম, তারা অনেক পেশাদার, শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও তাদের রয়েছে।
শামা ইয়ে মেরি লাইফ হ্যায়, সিআইডি, বাটলিওয়ালা হাউস নং ৪৩, কাজজল, সেভেন, বাল বীর জেন্ড মন মে হ্যায় বিশ্বাসের মতো টিভি শো দিয়ে পরিচিতি পান। সেক্সহোলিক ও মায়া: স্লেভ অফ হার ডিজায়ার তাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলে। অভিনেত্রী শামা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত। কিছুদিন পর্দা থেকে দূরে থাকলেও এখন আবার ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।