বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট। স্পেস ক্রাফটের মাধ্যমে এই প্রথমবার একটি গ্রহাণুর সঙ্গে ইচ্ছাকৃত সংঘর্ষ করতে চলেছে নাসা। গত ২৪ নভেম্বর DART মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস রওনা দেয়। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ DART আছড়ে পড়বে ‘ডিমারফস’ গ্রহাণুর বুকে। আর সেটা লাইভে স্ট্রিম করবে নাসা।
কিন্তু নাসা হঠাত্ গ্রহাণুতে ‘বোম’ মারতে চাইছে কেন?
পৃথিবীর দিকে যদি কোনওদিন কোনও গ্রহাণু ধেয়ে আসে, তবে তার গতিপথ বদলে দেওয়ার প্রস্তুতিই এই মিশনের উদ্দেশ্য। এই মিশনে দেখা হচ্ছে, বোম মেরে কীভাবে কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া সম্ভব।
সেই কারণেই এটিকে গ্রহ প্রতিরক্ষা মিশন বলছে নাসা। ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট। DART মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
DART মহাকাশযানটি মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এবং নিয়ন্ত্রিত। প্রকল্পটি নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস দ্বারা পরিচালিত।
মিশনের মূল লক্ষ্য ডিমারফস নামক একটি গ্রহাণু। এই দুই অংশ-যুক্ত একটি গ্রহাণুর অংশ। Dimorphos হল একটি ছোট ‘মুনলেট’ যা Didymos নামে একটি বড় গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। Didymos প্রায় ৭৮০ মিটার জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে Dimorphos ১৬০ মিটার।
NASA এবং এর আন্তর্জাতিক সহযোগীরা ক্রমাগত পৃথিবীর নিকটস্থ বস্তুর (NEOs) নজরদারি করেন। এই ধরনের ‘বস্তুর’ মধ্যে রয়েছে গ্রহাণু এবং ধূমকেতু। পৃথিবীর কক্ষপথের ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে আসে এমন সবকিছুই নজরে রাখা হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, কোটি কোটি গ্রহাণু এবং ধূমকেতু আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।