আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিদির প্রেমিকের মনে কী আছে, জেনে গিয়েছিলেন কনে। তাই নিজের বিয়ে ভেস্তে দিলেন। বিয়ের দিনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে বাড়ি ছেড়ে পালালেন।
মায়ের কাছে জানতে পেরে গিয়েছিলেন যে, তাঁর বিয়ের দিনেই দিদিকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন প্রেমিক। সকলের সামনে আংটি হাতে হাঁটু মুড়ে বসে জীবনসঙ্গী হতে বলে চমকে দেবেন দিদিকে। তা মোটেই পছন্দ হয়নি বোনের। বরং এ পরিকল্পনা শুনে রীতিমতো রেগে যান। মনে হয়, বিশেষ দিনটি শুধু তাঁর হওয়ার কথা। তাতে আর কেউ ভাগ বসাতে পারেন না। সে কারণেই ঠিক করেন, নির্ধারিত দিনে আর বিয়ে করা যাবে না।
মাকে জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তাঁর মতামতের যখন কোনও দাম নেই, তখন তিনিও বিয়ে করবেন না। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বাবা-মা। খরচও তাঁদের। রেগে গিয়ে কনে বলেন দেন, এক মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে আয়োজিত আসরকে বরং অন্য মেয়ের বাগ্দানের অনুষ্ঠান হিসাবে পালন করেন।
এর পর দিদির আনন্দও মাটি করেন বোন। তাঁকে আগেই বলে দেন প্রেমিকের পরিকল্পনা। সব শুনে মনখারাপ হয়ে যায় দিদির। প্রেমিকের কাছ থেকে হঠাৎ বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হওয়ার যে কথা ছিল, তা আর হবে না ভেবে হতাশ তিনি।
গোটা ঘটনাটি তরুণী নিজেই নেটমাধ্যমে জানিয়েছেন। সঙ্গে তাঁর দাবি, আত্মীয়েরা বিয়ের কথা প্রকাশ করতে বারণ করেছিলেন। বলেছিলেন, মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে তবে বাবা-মাকে বিয়ের কথা জানাতে। তবে তা করেননি তিনি। আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই মহিলার এখন বক্তব্য, বিয়ের কথা জেনে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁর মা। তাঁদের সব আয়োজনে অনেক অর্থ গিয়েছে। তার ভাগ নিতে বলা হয়েছে সেই তরুণীকে।
বোনের কিন্তু এ সব করে মোটেও দুঃখ হয়নি। বরং নির্ধারিত দিনের এক সপ্তাহ আগেই সেরে ফেলেন বিয়ে। বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাবা-মা আর দিদিকে ছাড়া সকলকেই ডাকেন। বন্ধু, আত্মীয় সকলে মিলে বিয়ে দেন তাঁদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।