জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আফতাব বহুমুখী ফার্মের ২০টি খামার বিনা নোটিশে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব ফার্মের খামারি ও কর্মরত প্রায় ২০০ জন শ্রমিক। উপজেলার এসব খামারগুলো দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে দীর্ঘ বিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে বয়লার প্যারেট ডিম উৎপাদন করে আসছিলো।
জানা যায়, উপজেলার এসব খামারিরা জহিরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত আফতাব বহুমুখী ফার্মের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর উদ্যোক্তা হিসেবে প্রথমে তাদের নিজস্ব এক একরের মতো জায়গায় নিজস্ব অর্থায়নে মুরগি লালন-পালনের ঘর বা শেড তৈরিসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু করেন। আফতাব ফার্ম প্যারেন্ট বয়লার মুরগির বাচ্চা, মুরগির খাবার, ওষুধ ও সেবা দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করতেন।
এরপর ৬ মাস মুরগি লালন পালন শেষে মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করলে ওই ডিমগুলো আফতাব বহুমুখী ফার্মে নিয়ে বয়লার প্যারেন্ট বাচ্চা উৎপাদন করতো। ওই ডিমগুলো যেহেতু বয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হতো, যেজন্য এগুলো উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে প্রতিটি গড় হিসেবে ২২-২৪ টাকা বাজার মূল্য নির্ধারণ করে তা থেকে লাভের একটা অংশ উদ্যোক্তাদের (খামারিদের) দেওয়া হতো। এভাবে একেকজন খামারি ডিম উৎপাদন চলাকালীন সময়ে ৭০- ৮০ হাজার টাকা করো পেতো। যা দিয়ে তারা ভালোভাবেই চলতে পারতেন।
এভাবে প্রতিমাসে ২০টি খামারে মধ্যে একই সঙ্গে সবগুলো উৎপাদনে না গেলেও অন্তত ১০টি খামারে দু’লাখেরও অধিক ডিম উৎপাদন হতো। যা একদিকে যেমন জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতো; অন্য দিকে মাংস উৎপাদন করে দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতো। এ ছাড়াও প্রতিটি খামারে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের সুযোগ ছিল। এসব খামারগুলো বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে সব সুযোগ থেকে কর্মরত লোকজন জীবনের মাঝ পথে এসে বেকার হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাইল গ্রামের খামারি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল, ভরুয়া এলাকার খামারি আব্দুল ওয়াহাব, ধুলজুরি এলাকার খামারি ফরিদ উদ্দিনসহ আরো কয়েজন খামারিদের অভিযোগ বন্ধ হওয়ার আগে তাদেরকে এ বিষয়ে অবগত না করায় তার চোখ মুখে সরষে ফুল দেখছেন। এতে পরিবার পরিজন নিয়েও তারা চরম দুর্দশায় দিনাতিপাত করছেন। প্রায় এক বছর হলেও তারা অনিশ্চয়তায় আছেন তাদের খামারগুলো আদৌ চালু হবে কী না?
তারা আরো জানান, খামারগুলো বন্ধ থাকায় শেডসহ সব কিছুই নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিচ্ছে। এগুলোর পেছনে ব্যাংক ঋণ রয়েছে। যার কিস্তি না দিতে পারলে তারাও দেওলিয়া হয়ে যাবেন। যে জন্য তাদের দাবি কর্তৃপক্ষ যেন খামারগুলো অতি শিগগিরই চালু করে তাদেরকে ঋণ মুক্ত রাখে।
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
এ বিষয়ে আফতাব বহুমুখী ফার্মের দেখবাল করার দায়িত্বে থাকা ভাগলপুর অফিসের এজিএম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়ার একমাত্র কৌশলগত কারণ হলো ধারাবাহিক লোকসান। এগুলো আপাতত চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।