জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ জেলার দুই বন্ধু জহির ও আলাউদ্দিন শৈশব থেকে ছিলেন অবিচ্ছেদ্য। দুজনের বন্ধুত্ব ছিল অনেকের জন্যই উদাহরণ। কিন্তু হঠাৎ করেই জহিরের শরীরে ধরা পড়ে একটি জটিল টিউমার, চিকিৎসকরা জানান—অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনো উপায় নেই।
Table of Contents
এই সংকটময় মুহূর্তে বন্ধু আলাউদ্দিন এগিয়ে আসেন। তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা সবাইকে অবাক করে দেয়—নিজের একটি অঙ্গ দান করে বন্ধুর জীবন বাঁচান তিনি। সমাজ ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে এমন উদারতা বিরল।
কিন্তু এরপর যা ঘটলো, তা ভাবনারও বাইরে
জীবন ফিরে পেয়ে জহির নতুনভাবে জীবন শুরু করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সামনে আসে এক অপ্রত্যাশিত বাস্তবতা। আলাউদ্দিন লক্ষ্য করতে থাকেন তার স্ত্রীর আচরণে পরিবর্তন। সন্দেহ প্রবল হলে একদিন তিনি সত্যের মুখোমুখি হন—নিজের ঘরে বিশ্বাসঘাতকতার চিহ্ন!
একজন যিনি নিজের সবকিছু বন্ধুর জন্য উজাড় করে দিয়েছিলেন, সেই তিনিই পেলেন প্রতিদান হিসেবে বিশ্বাসভঙ্গ।
আইনি পথে সমাধান চান আলাউদ্দিন
ঘটনার পরে আলাউদ্দিন আইনি সহায়তা নিতে আগ্রহী হন। তিনি মনে করেন, এটি শুধু পারিবারিক পরকীয়ার বিষয় নয়—এখানে একটি মহৎ আত্মত্যাগের অপব্যবহার হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, শুধুমাত্র সম্পর্কজনিত বিষয় নয়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন সংক্রান্ত আইনের দিক থেকেও এই ঘটনার গভীরতা রয়েছে।
প্রতিবেশীদের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, এমন আত্মত্যাগের পর এমন আচরণ কেউ আশা করেন না। প্রতিবেশীদের ভাষায়, “ভালোবাসা যখন বিশ্বাসঘাতকতায় পরিণত হয়, তখন তার চেয়ে কষ্টের কিছু নেই।”
যে শিক্ষা রেখে যায় এই ঘটনা
এই ঘটনাটি শুধু একটি সম্পর্কের ভাঙনের গল্প নয়, বরং বন্ধুত্ব, আত্মত্যাগ ও বিশ্বাসঘাতকতার জটিল প্রতিচ্ছবি। আলাউদ্দিন বলেন, “ভালোবাসা বা বন্ধুত্বে চোখ বন্ধ করলে যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন প্রতারণার শিকার না হয়।”
জীবনে অনেক সময় ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের নামে আত্মত্যাগ করতে হয়। কিন্তু সেই আত্মত্যাগ যেন কখনো অপব্যবহারের শিকার না হয়—এই গল্প আমাদের সেই বার্তাই দেয়। সম্পর্ক গড়তে যেমন প্রয়োজন বিশ্বাস, তা ধরে রাখতেও প্রয়োজন সততা ও কৃতজ্ঞতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।