আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই কর্মকর্তা তার বন্ধুর ১৪ বছর বয়সী এক মেয়েকে কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করেছেন। ওই কিশোরী এতে গর্ভবতী হয়ে যায়। খবর এনডিটিভির।
ইতিমধ্যে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও দেশটি কঠোর প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইনের অধীনে এফআইআর করেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তার স্ত্রীকেও শিশু নির্যাতনে সহায়তা করার অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে তার বাবা মারা যায়। এরপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই কর্মকর্তা ২০২০-২১ সালে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন। এতে একসময় ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ সময় অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে এসব স্বীকার করেন।
ওই কিশোরী পুলিশি অভিযোগে জানিয়েছে, সেইসময় অভিযুক্তের স্ত্রী তার ছেলেকে দিয়ে ওষুধ আনে এবং বাড়িতেই তার গর্ভপাত করে।
বর্তমানে ওই কিশোরী চিকিৎসাধীন। তার জবানবন্দি এখন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রেকর্ড করা হয়নি। দিল্লি পুলিশ শীর্ষ এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।