বিনোদন ডেস্ক : মহাজাগতিক দৃশ্যে পৃথিবীর রং নীল। কিন্তু তবু শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়র চোখে তাঁর পৃথিবীর রঙ সাদা। সাদা বিবর্ণ নয়, সে বিশুদ্ধ। তাতে নেই কোনো রং মিলান্তি। শ্রাবন্তী বিশ্বাস করেন সাদা রঙের ইতিবাচক পৃথিবীর অধ্যায়ে। এই কারণেই তিনি হাতে তুলে নিলেন রিভলবার। শেষ করে দিতে চাইলেন নারী পাচার চক্রের চাঁইদের। তবে অবশ্যই শ্রাবন্তী নামে নয়, শিবানী নামে।
এই কাহিনী শ্রাবন্তী অভিনীত আগামী ফিল্ম ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-র। গত ২২ শে মার্চ থেকে বেনারসের বুকে শুরু হয়েছে রাজর্ষি দে পরিচালিত এই ফিল্মের শুটিং। ফিল্মি কেরিয়ারে প্রথমবার ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-তে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে শ্রাবন্তীকে। এর মধ্যেই তিনি অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন এই ফিল্মের একটি স্টিল।
স্টিলে শ্রাবন্তীর পরনে রয়েছে প্রিন্টেড সালোয়ার-কামিজ ও মিরর ওয়ার্ক করা দোপাট্টা। চোখে গাঢ় কাজল। হালকা মেকআপ। খোলা চুলে হালকা কার্ল। দৃঢ় হাতে ধরা রিভলবার শত্রুর দিকে তাক করে রয়েছেন শ্রাবন্তী। চোখে বেপরোয়া ভাব ফুটে উঠেছে। হয়তো আরও অনেক কিছুই লেখা যেত ছবিটি সম্পর্কে। কিন্তু তাহলে রহস্য বজায় থাকে কি করে? কে এই মহিলা? ভবানী না শিবানী? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রেক্ষাগৃহে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-র মুক্তির জন্য।
বেনারসের পটভূমিতে একটি বিধবা আশ্রমকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-র গল্পের বুনোট। বিধবা আশ্রমের আড়ালে তৈরি হয়েছে একটি নারী পাচার চক্র যার সাথে যোগসাজশ রয়েছে ভবানীর। কিন্তু নারী পাচার চক্রের রহস্য উন্মোচন করতে বেনারসে আসে শিবানী। ভবানী যতটা রঙিন, শিবানী ঠিক ততটাই সাদাসিধে। ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-তে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সৌরসেনী মৈত্র, দেবলীনা কুমার প্রমুখ।
কিন্তু এত মিল কেন ভবানী ও শিবানীর চেহারায় এবং নামে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পাড়ি দিতে হবে ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-তে। তার জন্য এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে সকলকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।