জুমবাংলা ডেস্ক : আগাম বন্যার পূর্বাভাসে আগেভাগেই বোরো ধান কেটে গোলায় তুলছেন হাওরাঞ্চলের কৃষক। সাত জেলায় হাওর ও উঁচু জমি মিলিয়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে কিছু ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষতির মুখে মৌলভীবাজারের চাষিরা। হাওরভুক্ত সাত জেলায় এবার নয় লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭ হেক্টর জমিতে হয়েছে বোরোর আবাদ, যার চার লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমি হাওরে এবং পাঁচ লাখ হেক্টর জমি উঁচু এলাকায়।
পানি আসার আগেই হাওরের বোরো ধান কেটে ফলন ভালো পাওয়ায় খুশি নেত্রকোনার চাষিরা। কৃষকরা জানান, প্রতি হেক্টরে ৮-৯ মণ ধান পাচ্ছি। ধান কাটা প্রায় শেষ, এখন ধান শুকিয়ে গোলায় তুলছি।
জেলায় কৃষিশ্রমিকের সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিনে ধান কাটা হচ্ছে। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, “খালিয়াজুড়ি, মদনমোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা এসব এলাকার হাওরের বোরো ধান প্রায় শতভাগ পেকে গেছে।”
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, “কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এজন্য এবার ধানের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।” সুনামগঞ্জে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩ লাখের বেশি কৃষক। এবার আগাম বন্যার ভয়ে আধা-পাকা ধানই ঘরে তুলেছেন তারা।
কৃষকরা জানান, আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছি। জেলায় ব্যবহার হয়েছে সাড়ে নয়শ’ কম্বাইন্ড হারভেস্টার। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, “মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ৮০ ভাগ ধান পাকলে কর্তন করার জন্য।”
ব্লাস্ট রোগে কিছু ধান চিটা হওয়ায় হতাশ মৌলভীবাজারের চাষিরা। ধান কাটার শ্রমিক খরচই উঠছে না তাদের। কৃষকরা বলেন, ২৯ মোটামুটি ভালো হয়েছে কিন্তু ২৮ একেবারেই নাই। দেশে এবার ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিকটন চাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।