জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে আসার পর গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছে একটি মেছো বিড়াল। প্রাণিটিকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। মানুষের মারধরে আহত এই প্রাণীটির চিকিৎসা শুরু করেছেন তারা।
সোমবার (২৭ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।
এর আগে রোববার বিকেলে জেলার বানিয়াচং উপজেলার বন্যা কবলিত গানপুর গ্রাম থেকে মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করে আনা হয়। প্রাণিটি কাঁধে ও জিহ্বাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, প্রাণিটির আঘাতপ্রাপ্ত ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেছো বিড়ালটিকে খাওয়ানের জন্য দুটি মোরগ কিনে আনা হয়েছে। তবে জিহ্বাতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় খেতে পারছে না। পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়ে প্রাণীটিকে সুস্থ করে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানার মধ্যে মেছো বিড়ালটি ভাসছিলো। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে সেটি গাছে উঠে। সেখান থেকে গ্রামের এক ব্যক্তি সেটিকে ধরে আনেন এবং কয়েকজন মিলে রশিতে ঝুলিয়ে প্রাণীটিকে মারধর করতে থাকেন। মেছো বিড়ালটি চেঁচাচ্ছিল। খবর পেয়ে বন বিভাগ দ্রুত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সেটির সুরক্ষা নিশ্চিত করে। পরে নৌকাযোগে গিয়ে মেছোবিড়ালটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, মেছো বিড়ালকে কেউ কেউ মেছোবাঘ বা বাঘরোল বলেও ডাকেন। বিগত কয়েক দশকে এগুলোর সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর, জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছোবিড়ালকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।