জুমবাংলা ডেস্ক : পূবালী বাতাসে দিনাজপুরের বোরো ধানক্ষেতে দুলছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। আর মাত্র কয়েকদিন পর শুরু হবে বোরো ধানের কাটা-মাড়াই। ভাল ফলন হওয়ায় খুশি ধানচাষিরা।
চলতি বোরো মৌসুমে এবার জেলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার বোরো ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে সবুজের সমাহার। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝে মধ্যে দেখা যাচ্ছে সোনালি রঙের পাকা ধান। আর এক সপ্তাহ পর কাটা-মাড়াই শুরু হবে এসব পাকা ধান। তাই স্বপ্ন দেখছেন বোরো চাষিরা।
হাকিমপুর উপজেলার সাতনি গ্রামের বোরোচাষি আক্তার হোসেন বলেন, এবার আমি ৬ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। ফলন আল্লাহ দিলে অনেক ভাল হয়েছে। আর কিছুদিন পর কাটা-মাড়াই শুরু করবো। আশা করছি বিঘাপ্রতি ২৩ থেকে ২৪ মণ ধান ঘরে তুলবো।
বিরামপুর উপজেলার জোতবানি গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। কয়েকটা জমির ধান পাক ধরেছে। এসব পাকা ধান কাটতে লোক লাগাবো। বাকি জমির ধান পাকতে আর ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। আবহাওয়া ভাল থাকলে আশা করছি ফলনও ভাল পাবো।
হাকিমপুর উপজেলার কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমি। সেখানে চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমি। মাঠে বোরো ধানের ফলন এখন পর্যন্ত ভাল আছে। বিভিন্ন চিকন জাতের ধান বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ২৬ মণ হবে। এছাড়াও উন্নত জাতের বীজ থেকে প্রতি শতকে ১ মণ করে কৃষক ধান কাটা-মাড়াই করবেন। আশা করছি আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষক তাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এই জেলা ধানের জন্য বিখ্যাত, পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও অনেক ভাল হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।