বড় পরিবর্তন আসছে পেনশন স্কিমে

পেনশন স্কিম

জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ব্যবস্থায় আবার বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে! তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে, নতুন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে দেশটির সরকার কোনো রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না।

পেনশন স্কিম

সূত্রের খবর, পেনশন ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু, এখনও তা জমা পড়েনি। কবে তা জমা দেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা, এই রিপোর্টের মূল উদ্দেশ্য এমন নীতি প্রণয়ন করা যা, সরকারের উপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা চাপাবে না। কমিটি অবসরের সময় কর্মচারীর প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ পেনশনের সুপারিশ করতে পারে।

২০০৪ সালে সরকার জাতীয় পেনশন প্রকল্প শুরু করেছিল। জাতীয় পেনশন প্রকল্প বা এনপিএস সরকারি কর্মচারীদের বিনিয়োগ করতে দেয়। এই প্রকল্পের অধীনে সরকারি কর্মীরা তাদের সমগ্র কর্মজীবন নিয়মিত বিনিয়োগ করতে পারবেন। অবসর গ্রহণের পরে, পেনশনের একটি অংশ একলপ্তে তোলা যেতে পারে। অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে অ্যানুইটি প্ল্যান করা যেতে পারে। অ্যানুইটি হলো এক ধরনের বিমা। এতে একবার বিনিয়োগ করতে হয়।

এ থেকে মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক হিসেবে টাকা তোলা যায়। একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আমৃত্যু নিয়মিত আয় পেতে পারেন এই প্রকল্পে। তার মৃত্যুর পরে, নমিনি পুরো টাকা ফেরত পাবেন। কেমন পরিবর্তন হতে চলেছে- নতুন পেনশন ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসবে তা দীর্ঘদিন ধরেই বোঝা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, এনপিএস আর আকর্ষণীয় করে তুলতে সরকার কোনো রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। পেনশন ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার প্রতিবেদনও প্রস্তুত।

অবসরের সময় কোনো কর্মী যে পরিমাণ বেসিক বেতন পান, তার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেনশন দেওয়া যেতে পারে এমনই পরামর্শ দেওয়া হবে। ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং’-এর মাধ্যমে পেনশন নিশ্চিত করা হয়। বার্ষিক ঘাটতি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি কভার করবে। মূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে জীবনযাত্রার ব্যয় সমন্বয় করা হবে।

৮০০ বছরের পুরনো ‘গোল্ডেন ট্রি’, যা আপনাকে মুগ্ধ করবে

নতুন পেনশন ব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো, সরকারের উপর থেকে অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা হ্রাস করা। তবে এই কমিটি কখন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, সরকার সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।