জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লাখনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়। খনিটির উৎপাদনশীল ১৪১২ কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হওয়ায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খনির উৎপাদনশীল ১৪১২ নম্বর ফেস থেকে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। এই ফেসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য গতকাল দিবাগত রাত থেকে খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কয়লাখনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক জানান, ১২০৯ ফেসে নতুন করে ওপেন আব কাট নির্মাণ, ১৪১২ ফেস থেকে সব যন্ত্রপাতি স্যালভেজ ও যথাযথ মেইন্টেন্যান্স করে ১২০৯ ফেসে স্থাপন করতে প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে। আশা করা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময় নতুন ফেস থেকে আবারও উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ১২০৯ নতুন ফেস থেকে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে, যা দিয়ে আগামী মার্চ পর্যন্ত তাপবিদ্যুতকেন্দ্র সচল রাখা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



