বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। সংগীত জীবনের দীর্ঘ ৫৭ বছর পার করেছেন বরেণ্য এই গায়িকা। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান তিন দেশ মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি গান করেছেন তিনি। গানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ও নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার গাওয়া বহু গান এখনও গানপ্রেমীদের মুখে মুখে।
সেই রুনা লায়লা এক সাক্ষাৎকারে প্রশংসাপত্র দিলেন বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের। নতুন গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে উপস্থাপকের করা এক প্রশ্নের জবাবে করলেন ভূয়সী প্রশংসা। দিলেন পরামর্শও।
রুনা লায়লা বলেন, ‘নতুনরা ভালো করছে। তাদের আরও সঠিক গাইডলাইন দরকার। সব সময় নতুনদের উৎসাহ দিই আমি। নতুনরা যখন টেলিভিশনে গান করে, মাঝে মাঝে তাদের অনুষ্ঠান চলাকালীনই আমি ফোন করি। এতে ওরা খুশি হয়, অনুপ্রেরণা পায়। নতুনদের অনুপ্রেরণা দরকার। এতে ওরা সাহস পাবে। আরও ভালো করতে পারবে।’
পরিপূর্ণ একজন শিল্পীর জীবন্ত উদাহরণ রুনা লায়লা। সুরের জাদুকরি স্পর্শ দিয়ে কোটি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। নিজের শিল্পী জীবন নিয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘সুন্দরভাবে এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছি এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি। এছাড়া আমার পরিবার, মা-বাবাসহ অনেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
রুনা লায়লা জানান, তার সংগীত জীবনে মায়ের অবদান অনেক। বলেন, ‘উপরওয়ালার রহমত অবশ্যই আছে। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। জীবনের স্বার্থকতা এটাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে এটাও বড় খুশির কথা, আনন্দের কথা। এই ভালোবাসা ও সম্মান অর্থ দিয়ে কেনা যায় না। শিল্পী জীবনের এটাই তৃপ্তি।’
দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি রুনা লায়লার। অনেক কিছু পেয়েছেন একজীবনে। তারপরও কি তার জীবনে কোনো আফসোস কাজ করে?
কিংবদন্তি এই গায়িকা বলেন, ‘আমি কর্মে বিশ্বাসী। কর্মটাই টিকে থাকবে। সব সময় কাজ নিয়ে থাকতে চাই। গান নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। গানটাই করতে চাই। গানই সব। গানের মধ্যে থাকতে চাই। গানই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই কোনো আফসোস নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।