আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারা বছরই এ নদীতে জল থাকে। তবে বছরের একটা সময় এ নদীর জল লাল রূপ ধারণ করে। নদী দিয়ে প্রবল স্রোতে বইতে থাকে লাল জল। প্রকৃতি যেভাবে নিজেকে আপন খেয়ালে সাজাতে পারে শিল্পীর কল্পনা ক্ষমতাও অতটা পারেনা। শিল্পীর কল্পনায় ছবি যতটা সুন্দর হয় তার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর হয় প্রকৃতির খেয়াল।
প্রকৃতির তেমনই এক খেয়াল খেলা নজর কাড়ে একটি নদীর জলে। সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বয়ে যায় এই নদী।
এমন তো কতই পাহাড়ি নদী রয়েছে। কিন্তু এ নদী নিজের জায়গায় একদম আলাদা। এ নদীর জল বর্ষার সময় লাল হয়ে যায়।
পাহাড়ে যখন বর্ষা নামে তখন আস্তে আস্তে লাল হতে থাকে এ নদীর জল। সবুজের বুক চিরে প্রবল স্রোতে বইতে থাকে লাল জল। কেউ যেন আলতা গুলে দিয়েছে নদীর জলে। কয়েকটা মাস এমন লাল হয়েই কাটিয়ে দেয় এ নদী।
নদীটি রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে। পেরুর কালসো এলাকার পুকামায়ু নদীর এই লাল হয়ে যাওয়া গোটা বিশ্বের কাছেই এক চমকপ্রদ ঘটনা। বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে এই লাল নদী দেখতে হাজির হন।
স্থানীয় ভাষায় পুকা মানে লাল আর মায়ু মানে নদী। অর্থাৎ লাল নদী। এই লাল নদীর লাল হওয়ার কারণ পাহাড়ের গা থেকে বয়ে আসা আয়রন অক্সাইড জলে গুলে বর্ষার সময় বইতে থাকে এই নদী বেয়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ঘোড়ার তকমার দৌড়ে ২০ ইঞ্চি উচ্চতার টাট্টু ঘোড়া
ফলে লাল হয়ে ওঠে জল। বর্ষা ছাড়া বছরের বাকি সময় এ নদীতে জলের তেমন স্রোত থাকেনা। রংও আর লাল থাকেনা। একটু খয়েরি রংয়ের জল আস্তে আস্তে বয়ে যায় নদী ধরে। কিন্তু বর্ষা এলেই ফের যায় পুকামায়ুর রূপ বদলে। এও প্রকৃতির এক আপন খেয়াল। পুকামায়ু নদীটি জন্ম নিয়েছে এমন একটি পাহাড় থেকে যেখানে সারাদিন রামধনু রং খেলা করে বেড়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।