জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে বস্তায় আদা চাষ। সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইতে বর্ষায় শুরু হওয়া এই আদা চাষ কৃষকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ছায়াযুক্ত পরিত্যক্ত জায়গায় চাষ করা যায় বলে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং মিরসরাইতে সিমেন্টের ফেলে দেয়া বস্তায় শুরু হয়েছে আদার চাষ। বসতবাড়ির আশপাশে বিভিন্ন গাছ-গাছালির নিচেই চাষ করা যায় আদা।
মাটি, সার আর বীজ মিলে প্রতি বস্তায় কৃষকদের খরচ হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতি বস্তায় মিলছে দুই থেকে আড়াই কেজি আদা।
এক চাষী বলেন, “পরিত্যক্ত জমিতে ১শ’ বস্তায় আদার চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় যদি ৩ কেজি করে আদা হয় তাহলে অনেক টাকা আসবে।”
কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা ছাড়াও কৃষি বিভাগ উন্নত জাতের আদার বীজ সরবরাহ করছে। এতে ভালো ফলন পাচ্ছেন বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
সীতাকুণ্ড উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, “যে জমিতে একেবারে কোনো কিছুই উৎপাদন হয়না, সেসব জায়গাতেও বস্তায় আদার চাষ হচ্ছে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, “উন্নত জাত এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বস্তায় আদার চাষ কিভাবে করতে হয় কৃষকদের শেখানো হচ্ছে। এবারই প্রথম সীতাকুন্ডে এই কার্যক্রমটা শুরু করতে পেরেছি।”
কৃষি জমির সংকটসহ নানা কারণে কৃষকরা মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। সরকারি সহায়তার মাধ্যমে মসলা চাষে উদ্বুদ্ধ করা গেলে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি কমবে আমদানি ব্যয়।
১৯৭৪ সালের ১ টাকা থাকলে যত টাকা পাবেন আপনি, জেনে নিন বর্তমান সময়ের দাম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ ও সাবেক মহাপরিচালক মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, “অনাবাদী জমি বিশেষ কৌশলে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতায় আনা সেটা অবশ্যই আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।” কৃষি বিভাগ বলছে, এ’বছর পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে অন্য উপজেলায়ও বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের সম্পৃক্ত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।