বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পর্দা ৫ ইঞ্চি থাকা অবস্থায় ডিভাইসটির আকার আইফোন ১৩ মিনির চেয়েও ছোট। আর ৬.৫ ইঞ্চি অবস্থায় এর আকার গিয়ে দাঁড়ায় আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের কাছাকাছি। নতুন ‘কনসেপ্ট ফোন’ দেখিয়েছে মটোরোলা; বোতাম চাপলেই ৫ইঞ্চি থেকে বেড়ে ৬.৫ ইঞ্চি আকার নেয় ‘রোলএবল স্মার্টফোনের’ পর্দা।
সম্প্রতি ‘লেনোভো টেক ওয়ার্ল্ড ২০২২’ আয়োজনে নতুন কনসেপ্ট ফোনের ভিডিও দেখিয়েছে মটোরোলা।
পর্দা ৫ইঞ্চি আকারে থাকা অবস্থায় ডিভাইসটি হিসাবে আইফোন ১৩ মিনির চেয়েও ছোট। আর ৬.৫ ইঞ্চি অবস্থায় এর আকার গিয়ে দাঁড়ায় আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের কাছাকাছি।
তবে, বোতাম চেপে ডিভাইসের আকার পরিবর্তনের প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকায় ডিভাইসটি বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে শিগগিরই বাজারে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
আয়োজনে ‘ডেমো ভিডিও’-তে কেবল সামনে থেকেই ফোনটির আকার বদলানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে মটোরোলা। ডিভাইসটি নিয়ে আর কোন তথ্য বা নকশার অন্য কিছু দর্শকদের দেখায়নি লেনোভো মালিকানাধীন এই স্মার্টফোন নির্মাতা।
সম্প্রতি চীনের বাজারে তৃতীয় প্রজন্মের রেজর স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছে মটোরোলা। এর আগে মে মাসেই কোম্পানিটি ‘রোলএবল স্মার্টফোন’ নিয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেছিলেন প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে নির্ভরযোগ্য তথ্য ফাঁসকারী হিসেবে পরিচিত ব্লগার ইভান ব্লাস।
সিনেট বলছে, অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতারা যে কনসেপ্ট ফোন দেখিয়েছে, সে তুলনায় মটোরোলার উদ্যোগ কিছুটা আলাদা। পর্দার আকার বদলায়, আগেই এমন কনসেপ্ট ফোন দেখিয়েছে স্যামসাং আর টিসিএল; কিন্তু ওই নকশাগুলোতে পর্দার আকার পরিবর্তন হয় আড়াআড়ি, উল্লম্বভাবে নয়।
এক্ষেত্রে মটোরোলা স্মার্টফোন-ট্যাবলেট হাইড্রিড ডিভাইসের বদলে এমন একটি ডিভাইস নির্মাণের চেষ্টা করছে, প্রয়োজন ও পরিস্থিতিভেদে যার আকার বদলে নেওয়া যাবে বলে মন্তব্য সিনেটের।
আর এই প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আসার জন্যেও দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে; নিজেদের প্রথম ফোল্ডএবল স্মার্টফোনের কনসেপ্ট দেখানোর বেশ কয়েক বছর পরে প্রথম ‘গ্যালাক্সি ফোল্ড’ বাজারজাত করেছিল স্যামসাং।
তবে, ‘রোলএবল স্ক্রিন’ প্রযুক্তি ‘গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড’-এর মতো বড় আকারের ফোল্ডএবল ডিভাইসের কিছু সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ‘ডিসপ্লে সাপ্লাই চেইন কনসালটেন্টস’-এর প্রধান নির্বাহী রস ইয়াং।
“আমার মনে হয়, বই ধরনের ডিভাইসকে রোলএবল কনসেপ্টের প্রতিস্থাপন করার সম্ভাবনা আছে। কারণ, এতে ডিভাইস অনেক পাতলা হবে। ওজনেও এটি হালকা হওয়া উচিত।”
২০১৯ সালে প্রথম প্রজন্মের ফোল্ডএবল রেজর ফোন দেখিয়ে বাজারে সারা ফেলে দিয়েছিল মটোরোলা। তবে ফোল্ডএবল ফোনের শ্রেণিতে এখন আধিপত্য করছে স্যামসাং।
বাজার বিশ্লেষক কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের বরাত দিয়ে সিনেট জানিয়েছে, ফোল্ডএবল ফোনের বৈশ্বিক বাজারের ৬২ শতাংশ নিজের দখলে রেখেছে স্যামসাং; ১৬ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে হুয়াওয়ে।
একই প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে ফোল্ডএবল ফোনের বাজার ৭৩ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।