জুমবাংলা ডেস্ক : মাছ আমাদের অতি পরিচিত একটি খাবার ও আমিষের ভান্ডার। যা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটায়। মাছ খেতে কে না ভালোবাসে। যে কোন দেশেই হোক বা যেকোনো ধরনের মানুষই হোক সকলেই মাছ ও মাছের তৈরি বিভিন্ন রেসিপি তৃপ্তির সাথে খেয়ে থাকে। মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্না করা যায় চা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হচ্ছে মাছ ধরার মধ্যে। অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে। চাষকৃত মাছ মাছ গুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যায় যা থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।
কিন্তু অনেকে আবার মাছ ধরা কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে ও এর মাধ্যমেই জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে। অনেকে আবার শখের বশে নিজস্ব পুকুরে মাছ শিকার করে। মাছ শিকার টি অতীব শখের বিষয়।সকলেই মাছ ধরতে পারে না। এর জন্য বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতার দরকার পড়ে না। মাছ যেভাবেই হোক ধরার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ ইচ্ছা শক্তি ও ধৈর্য। ধৈর্য থাকলেই কেবল মাত্র মাছ ধরতে পারবে অন্যথায় খালি হাতে ফিরতে হবে।
বর্তমানের জ্ঞানের ভান্ডার হলো সোশ্যাল মিডিয়া। প্রায় সকল ধরনের খবর অবস্থা চলমান পরিস্থিতি সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া যায়। বর্তমানে একটি বিষয় খুব বেশি উপরে উঠে এসেছে সেটি হল ভাইরাল বিষয়গুলো। সকলে চায় তার নিজস্ব কর্মকাণ্ড ও তার তৈরি ভিডিও গুলোর মাধ্যমে বা কাজের মাধ্যমে ভাইরাল হতে। কেবলমাত্র ভাইরাল হলেই সে আলোচনা তে থাকতে পারে। সকলেই চায় আলোচনায় থাকতে কেউ চায় না সমালোচিত হতে।
তবে বর্তমানে পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার চেয়ে সমালোচনায় বিষয়গুলোতে মানুষের ইচ্ছা বেশি থাকে। অনেক সময় মানুষের মাছ ধরার ভিডিও গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর পরিমাণ ভাইরাল হয়। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাল হয়। দেখা যায় গ্রামীণ পদ্ধতি যাতে আশেপাশের পুরনো প্লাস্টিকের কৌটা ব্যবহার করে একটি ফাঁদ বানানো হয় এবং তা দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
ভিডিও দেখা যায়, একটি লোক তার পুকুরে মাছ শিকার করবে। যার জন্য সে সহজ একটি ফাঁদ বানায়। এই ফাঁদের জন্য দরকার হয় একটি প্লাস্টিকের বোতল ও মাছের খাবার। ফাঁদটি ছিল এরকম প্রথমে প্লাস্টিকের কৌটা টি মাঝ বরাবর কেটে ছিদ্র করে নেওয়া হয় এরপর ছিদ্রটিতে এমনভাবে প্লাস্টিক টি বসানো হয় যাতে মাছ শুধু ঢুকতে পারে কিন্তু বের হতে না পারে। এরপর কৌতাটির মাথায় একটা বড়ো সুতা বাধা হয়।
এর পর মাছের জন্য খাবার প্রস্তুত করা হয়। খাবার গুলো কৌটার মধ্যে দিয়ে সেটি পানিতে ডুবিয়ে বেধে রেখে আসা হয়। ৬ ঘণ্টা পর গিয়ে দেখা যায় কৌটায় অনেক গুলো মাছ আটকা পড়েছে। এভাবে সহজেই মাছ শিকার করা যায়। ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে নেটিজেনদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সকলেই এরকম ভাবে মাছ ধরা প্রথমবার দেখছে বলে উল্লেখ করে এবং নানান ধরনের মন্তব্য করতে থাকে যা ছিল আসলে দেখার মত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।