আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ডিভোর্স হওয়ার পর একজন আরেকজনের কাছে কিছু কিছু জিনিস ফেরত চান। এটি প্রায়ই হয়ে থাকে। তবে যুক্তরাজ্যে যে ঘটনা ঘটলো, তা একসঙ্গে আবেগপ্রবণ ও অবাক করে দেওয়ার মতো। সাবেক স্ত্রীর কাছে কিডনি ফেরত চেয়েছেন স্বামী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম লেডবাইবেল বলছে, ডিভোর্স স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এ নিয়ে স্বামী–স্ত্রী দুজনকেই বিপাকে পড়তে হয়। যদিও অনেককে দেখা যায়, ডিভোর্স পার্টি দিচ্ছেন। আবার অনেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেন সংসার যাতে না ভাঙে।
বিয়ের সময় স্ত্রী ডওনিলকে কিডনি দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাসাউ কাউন্টির বাসিন্দা ড. রিচার্ড বাতিস্তা। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেন স্ত্রী। সে অনুযায়ী ডিভোর্সও করতে হয়। ডিভোর্সের পর সেই স্ত্রীর কাছে কিডনি ফেরত চান তিনি। অথবা ১২ লাখ ডলার দিতে হবে তাঁকে।
ড. রিচার্ড বাতিস্তা বলেন, বিয়ের পর তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যান। এ কারণে সারাক্ষণ ঝগড়া হতো তাঁদের মধ্যে। এরপরও তিনি কিডনি দান করেন। এর মাধ্যমে সংসার টেকাতে চেয়েছিলেন তিনি। বাঁচাতে চেয়েছিলেন স্ত্রীকে।
এতে স্ত্রীর জীবন বেঁচে গেলেও সংসার আর টেকাতে পারেননি ড. রিচার্ড বাতিস্তা। ২০০৫ সালে তাঁদের ডিভোর্সের আবেদন করেন স্ত্রী। বাতিস্তার অভিযোগ, অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রী ডওলিনের। এ কারণে তিনি এবার কিডনি ফেরত চাইছেন।
তবে তাঁদের চিকিৎসক রবার্ট ভিয়াচ বলছেন, এখন কিডনি ফেরত দিয়ে দিলে ওই নারী মারা যেতে পারেন। আদালত বলেন, ওই কিডনি দান হিসেবে দেওয়া। এটি তিনি ফেরত চাইতে পারেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।