বিনোদন ডেস্ক : ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায় না রচনাকে। তবে স্বামীর সঙ্গে আলাদা হওয়ার পর থেকে ছেলেকে নিয়েই থাকেন। একবার জানিয়েছিলেন বউ হিসেবে নিজেকে ‘শূন্য’ দেবেন তিনি।
সিনেমার কারণে ঠিক যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার থেকে বহুগুণ প্রচারের আলোয় এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালক হিসেবে। পশ্চিম বাংলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও মহিলারা উজার করে দেয় ভালোবাসা তাদের দিদিকে। মহিলাদের জীবনযুদ্ধে জয়ের গল্প উঠে আসে এই শো-তে। তবে স্ট্রাগল রচনাও কম করেননি। বিয়ে হলেও, তা টেকেনি। প্রায় একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন। ঘর-সংসার সামলেছেন দায়িত্ব নিয়ে।
বছরকয়েক আগে টিভির জনপ্রিয় টকশো ‘অপুর সংসার’ এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই শাশ্বতর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় রচনাকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। জানতে চাওয়া হয় নিজেকে মা হিসেবে কত নম্বর দেবেন টিভির দিদি। যার উত্তরে রচনা জানান, ‘আমি মা হিসেবে নিজেকে দশে সাত দেব। আরও একটু কম দিলেও মন্দ হয় না।’ আর স্ত্রী হিসেবে কত জানতে চাওয়া হলে উত্তর আসে ‘শূন্য’।
অভিনেত্রীর যুক্তি, ‘বউ হিসেবে নিজেকে শূন্য দেব আমি। কারণ আমার মনে হয় বউ হওয়ার জন্য, সংসার করার জন্য, গৃহিণী হওয়ার জন্য যে গুণগুলো লাগে তা আমার নেই। আসলে আমরা যারা অভিনয় করি তাদের অভিনয় জগতেরই কারোর সঙ্গে ঘর বাঁধা উচিত বা এমন কোনও মানুষের সঙ্গে যে অভিনয় পেশাটাকে অত্যন্ত বুঝবে। কারণ আমাদের এই পেশাটা একেবারে আলাদা। অনেক বেশি মানিয়ে চলতে হয়।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রচনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি বিবাহিত, তবে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ তকমাটা তার সঙ্গে যায় না। যদিও স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়নি। তবে আলাদা থাকেন। রচনার কথায়, ‘ছেলের জন্যই আমরা ডিভোর্স নেইনি। কারণ আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে তার বাবা-মা ডিভোর্সড। এটা আমার এবং আমার স্বামীর মিলিত সিদ্ধান্ত।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।