ভারতীয় সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার। ব্যক্তিগত জীবনে প্রীতির সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নিজের নাম রাখেন আয়েশা। স্ত্রীর ধর্মান্তরিত হওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েন এই গায়ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—“জোর করে স্ত্রীকে ধর্মান্তর করেছেন ইসমাইল।”
দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি ইসমাইলকে। সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ব্যক্তিগত জীবনসহ এসব বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই সুরকার।
আয়েশার সঙ্গে যখন তার পরিচয় হয়, তখন প্রথম স্ত্রী ফারজানার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে ইসমাইল বলেন, “আমাদের মাঝে কোনো ঝগড়া ছিল না, শুধু দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।” এসময় সঞ্চালক জানতে চান, আপনারা ছেলেরা কী বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন? জবাবে ইসমাইল বলেন, “ওরা পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছে, খুব পরিণত ব্যবহার করেছে। কখনো আমাকে বিচার করেনি। আমি গর্বিত, ওরা যেভাবে সবটা সামলেছে।”
প্রথম স্ত্রী ফারজানার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমাইল বলেন, “ফারজানার সঙ্গে একবার ঝগড়ার পর আমি আয়েশাকে ফোন করেছিলাম। তারপর আমরা একসঙ্গে ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ি। এক ঘণ্টা পর গাড়ি থামিয়ে আমি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিই। ও ‘হ্যাঁ’ বলে দেয়। সত্যি বলতে, আমি ওকে অনুভব করতে শুরু করেছিলাম। ও আমার কাজের খুব ভক্ত ছিল। দীর্ঘ কথোপকথনের পর ওর সঙ্গে একটা বন্ধন তৈরি হয়ে যায়।”
প্রীতি থেকে আয়েশা নাম গ্রহণ ও ধর্মান্তরের বিষয়ে ইসমাইল বলেন, “আয়েশার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার নিজের ছিল। ও নিজে চেয়েছে তাই ধর্মান্তরিত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে কোনোরকম চাপ ছিল না।”
বিনোদন জগতের ক্যারিয়ার ছেড়ে আয়েশা পুরোপুরি সংসারী হয়েছে এবং সন্তানদের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানান ইসমাইল। তার ভাষায়—“আয়েশা আজও আমাকে জামাকাপড় পরিয়ে দেয়। এমনকি, আমার জুতার ফিতেও বেঁধে দেয়। ও তার ক্যারিয়ার ছেড়েছে আমাদের সন্তানদের জন্য।”
ইসমাইল ও ফারজানা দম্পতির আওয়েজ ও জায়েদ দরবার নামে দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে তারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। দুই পুত্রের সঙ্গে আয়েশার বন্ধনও দৃঢ়। এ বিষয়ে ইসমাইল বলেন, “ওরা ওকে ‘আয়েশা মাম্মি’ বলে ডাকে। আয়েশার প্রতি ওরা গভীর শ্রদ্ধা রাখে।”
সঞ্জয় লীলা বানসালি নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ (১৯৯৯), ‘দেবদাস’ (২০০২)। এসব সিনেমাসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমার সংগীত পরিচালক ইসমাইল দরবার। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার জন্য সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।