বিনোদন ডেস্ক : স্ত্রীকে সব সময় প্রকাশ্যে আনতে রাজি নন, কিন্তু লুকিয়েও রাখবেন না―এমনটাই নিজের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে মত অভিনেতা আফরান নিশোর। বুধবার নিশো কলকাতায় গেছেন। সেখানে তার অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে আফরান নিশো বলেন, ‘আমি আমার দর্শনের কথা বলেছি।
দর্শনে সংঘর্ষ আসতে পারে। আমি বিবাহিত হলে, সকলকে বলেই দেব। হয়তো আমার স্ত্রীকে সর্বদা প্রকাশ্যে আনব না। তবে লুকিয়েও রাখব না। ব্যক্তিজীবনকে লুকিয়ে রাখায় বিশ্বাসী নই। আমার বন্ধু নিরব, ইমন ব্যক্তিজীবনকে অন্তরালে রেখেছেন। সেটা তাদের ক্যারিয়ারে যে খুব সাহায্য করেছে, এমনটা নয়।’ তিনি বলেন, ‘সুপারস্টার, মেগাস্টার যা-ই হোক না কেন তার সবটা মিলিয়ে দর্শক তাকে অনুসরণ করে।
আসলে হিরোর ধারণাটা শুধু আমাদের দেশে আছে। হিরো আসেন, বসেন, একটার জায়গায় পাঁচটা চেয়ার দেওয়া হয়। আমার কাছে হিরো বলাটা বড্ড ফেক মনে হয়। হিরো এবং অভিনেতার মধ্যে বৈষম্য তৈরি করাটা আমার দর্শন অনুমতি দেয় না। কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গায়ে মাখেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক।
’
লোকে বলে বাংলাদেশের সুপারস্টার একজনই—শাকিব খান। আপনার কী মত? এমন প্রশ্নের জবাবে আফরান নিশো শাকিব খানের নামই উচ্চারণ করেননি। তিনি সাবলীলভাবে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমার কাছে হুমায়ুন ফরীদি, গোলাম মুস্তাফা, বুলবুল আহমেদরা সুপারস্টার।’
কলকাতার শিল্পীদের বিষয়ে আফরান নিশো বলেন, “আমার খুব ভালো লাগে রুদ্রনীলদাকে (রুদ্রনীল ঘোষ)। আসলে লোক হাসানো সহজ কাজ নয়। ওনার ‘চ্যাপলিন’ দেখেছি, ওনার বহু আগের করা একটা ‘দেবদাস’ দেখেছি। আর বাণিজ্যিক ছবিও দেখেছি ওনার।
উনিও আমার নাটক দেখে প্রশংসা করেন, আমার খোঁজ করেন। কোনোভাবে সে সময় যোগাযোগ হয়নি। পরে দেখি উনি নিজেই ফেসবুকে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, তখন আমার দেখা হয়ে ওঠেনি। এখন অবশ্য হোয়্যাটসঅ্যাপে কথা হয়। উনি আমাকে বলেছিলেন, আমাদের দেশে অভিনেতার খুব দরকার। এ ছাড়াও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাজ দেখি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।