আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেন স্বামী। এরপর নিজেও হয়ে যান লাপাত্তা। পুলিশ ধারণা করে, স্বামী এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী ও ২৫, ১৭, এবং ১৫ বছর বয়সী তিন সন্তানকে হত্যার ঘণ্টা খানেক পর স্বামীরও মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ভারতের উত্তরপ্রদেশে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভি
ভারানসির বাদাইনির বাসিন্দারা আজ সকালে এমন ঘণ্টার স্বাক্ষী হলেন যে, এ ঘটনা তাদের পুরো জীবনে দাগ কেটে থাকবে। রাজেন্দ্র গুপ্তার বাড়িতে প্রায় ২০ পরিবার বসবাস করে। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে তাদের ঘরের দরজা খোলা ছিল না।
ফলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন কাজের মেয়ে। এরপর তিনি দেখেন চারজনের মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে আছে। তবে রাজেন্দ্রকে ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজেন্দ্রকে একটি ভবনের পাশে খুঁজে পায়।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার গৌরভ বানসাওয়াল বলেন, আজ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় এক নারী বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাজেন্দ্র গুপ্তা পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ তদন্তের কথা জানিয়েছে।
আ. লীগের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নেয়ায় সমন্বয়কে কোপাল বিএনপির কর্মীরা
পুলিশ জানিয়েছে, রাজেন্দ্র গুপ্তা একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। আগেও তার বিরুদ্ধে বাবা, ভাই ও শ্যালিকাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ৪৫ বছর বয়সী নিতু ছিলেন রাজেন্দ্রর দ্বিতীয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।