বিনোদন ডেস্ক : ঈদের দিন ফেসবুকে নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আলোচিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। সেখানে লিখেছেন, ‘সিঙ্গেলদের আবার কিসের ঈদ? যা-ই হোক, ঈদ মোবারক।’ এর আগে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই এই গায়ক বলেন- বিয়ে করে ছেঁকা খেয়ে বিরহে আছেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিল্পীই প্রচণ্ড রকম প্রেমিক হন। প্রেমে ছেঁকা খেলে মানুষের জীবন বিভীষিকাময় হয়ে যায়। আমি তো প্রেম করিনি। সরাসরি বিয়ে করেছি। আর বিয়েতে ছেঁকা খেলে মানুষের কী হয়, বুঝুন এবার।’
তবে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলছেন ভিন্ন কথা। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়নি। তবে আলাদা থাকি।’ নোবেলের কথার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কেননা এই গায়ক গত মার্চ মাসে সালসাবিল মাহমুদকে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। একসঙ্গে থাকার পরেও নোবেলের ‘একাকিত্ব’ আর সালসাবিলের ‘সেপারেশন’ কেন?
এ বিষয়ে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘আমি ২০২০ সালে বান্দরবানের একটি ঘটনার কারণে নোবেলকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ওই সময় সে নেশায় আসক্ত ছিল। পরে নোবেল ভুল স্বীকার করে এবং নেশা থেকে বিরত থাকে। তাকে চিকিৎসার চেষ্টা করি। পরে আবার নেশা শুরু করে। যার ফলে আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি।
কিন্তু অফিশিয়ালি ডিভোর্স হয়নি। অবশ্য সে সবখানে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।’
দুবাই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আবার সম্ভাবনা ছিল যে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। মাসখানেক আগে সম্ভাবনা তৈরি হয়। যার ফলে আমরা একত্রে দুবাই গিয়েছিলাম। কিন্তু আসার পরেই সে আবার আগের জায়গায় ফিরে গেছে। নেশা না ছাড়লে হয়তো এই সম্পর্ক বেশিদূর টেনে নেওয়া সম্ভব না।’
উল্লেখ্য, মাইনুল আহসান নোবেল ভারতীয় রিয়ালিটি শো সারেগামাপা দিয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে নিজের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন। এদিকে সালসাবিল মাহমুদ একজন মডেল। নোবেলের গানেই মডেল হয়েছিলেন সালসাবিল। তারা পরিচয় থেকে প্রেমের পর ২০১৯ সালে বিয়ে করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।