জুমবাংলা ডেস্ক:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক শিক্ষকের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। এ ছাড়া তার সহযোগীদের জালে আরও ১৬টি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। সব মিলে প্রায় ৯০ কেজি বোয়াল মাছ ধরেছে খাষপুখুরিয়া গ্রামের সৌখিন মৎস্য শিকারিরা।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে মাছগুলো খাষপুখুরিয়া এলাকার যমুনা নদীর মোহনা থেকে ধরা হয়। মাছগুলো বাড়িতে আনলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করেন।
এ বিষয়ে সৌখিন মৎস্য শিকারি খাষপুখুরিয়া বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি স্থানীয় একটি হাইস্কুলে চাকরি করি। শিক্ষকতার অবসর সময়ে অনেকটা শখের বশে জাল নিয়ে যমুনায় মাছ শিকার করি। অনেক মাছ শিকার করেছি; কিন্তু এত বড় মাছ এর আগে কখনো পাইনি তাই এ মাছটি বিক্রি না করে আত্মীয়স্বজনদের মাঝে কিছু বিলিয়ে দেব এবং নিজেরা রান্না করে খাব। এদিকে সৌখিন মৎস্য শিকারি গ্রুপে শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ১১ জন মানুষ ছিল। তারা রাতভর যমুনা নদীর মোহনায় জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে একে একে বিশাল আকৃতির বোয়াল মাছগুলো ধরতে থাকে। মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
এ বিষয়ে মাছ শিকারি শিক্ষক আব্দুল গফুর, ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও হাবিবুর রহমান জানান, যমুনার মাছ এমনিতেই সুস্বাদু। তার ওপর যদি হয় বড় আকারের, তাহলে তো কথাই নেই। সবসময় যমুনার মাছের চাহিদা বেশি থাকে। বড় বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বাজারের ভালো মাছ চড়া দামে কিনে নিয়ে যায়। আমরা সবসময় কিনতে পারি না। তাই নিজেরাই কাজের অবসরে মাছ ধরতে বাড়ির পাশেই যমুনা নদীতে জাল নিয়ে যাই। বেশ কয়েকজন মিলে রাতভর কষ্ট করে মাছ ধরেছি। সব মিলে প্রায় ৯০ কেজি বোয়াল মাছ ধরেছি। বাজারমূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা হবে। তবে বোয়াল মাছ কোনো বেচা বিক্রি করা হবে না। নিজেরা আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ভাগাভাগি করে নেব।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের কারণে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সব প্রজাতির মাছ প্রজননের সুযোগ পাওয়ায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।