বিনোদন ডেস্ক : ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে হামলার শিকার হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছিলেন, তিনি আর জীবনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে কয়েক মাস পেরোতেই নিজের বয়ান থেকে সরে গেলেন আলোচিত হিরো আলম। গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সবাই।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন হিরো আলম। খুব শীগগিরই কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বগুড়ার দুটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘দুয়েকদিনের মধ্যে আমি যে কোনো একটা দলে যোগদান করব। সে দলের দলীয় প্রতীক নিয়ে বগুড়া দুটি আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। বগুড়া-৪ বা বগুড়া-৫ থেকে দাঁড়াব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এলাকার মানুষ আমাকে চায়। তাদের কথা ভেবেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যে দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সেই দলের নাম এখনই বলতে চাইছেন না হিরো আলম।
হিরো আলম আরও জানান, ‘ঢাকায় উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণেরর পর থেকে বেশকিছু রাজনৈতিক দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের দলে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু আমি সময় নিয়ে কিছু দলের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। দুয়েকদিন পরেই সবাই জানতে পারবেন আমার নির্বাচনের প্রতীক ও দল সম্পর্কে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। এরপর ঢাকা-১৭ আসনেও প্রার্থী হন তিনি। যদিও সেই নির্বাচনেও হিরো আলম আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আবারও নির্বাচনের মাঠে নামার ঘোষণা দিলেন।
তবে এবার নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি ডিবিপ্রধান হারুন স্যারের সঙ্গে কয়েকদিন আগে দেখা করেছি। তিনি আমাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমার দিকে বিশেষ নজর রাখতে বগুড়ার ডিসি-এসপিকে বলে দেবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।