জুমবাংলা ডেস্ক : রঙিন মাছ দেখলেই প্রথমে মনে হবে কোনো রূপকথার গল্প। আসলে রূপকথা নয়, বাস্তবেই এমন একটি মাছের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছোট মাছের শরীর থেকে ঝরছে বাহারি উজ্জ্বল রঙ। পাখনাতেও রয়েছে নানান রঙ।
শুধুমাত্র রঙই নয়, এই মাছের বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। তারা খেয়াল করে দেখেছেন, বয়স যত বাড়তে থাকে নারী থেকে পুরুষ হয়ে উঠতে থাকে মাছটি। প্রায় তিন বছর আগে তাঞ্জানিয়ার জাঞ্জিবার অঞ্চলের মেসোফোটিক রিফে প্রথম সন্ধান মিলেছিল এই বিশেষ মাছের। নাম রাখা হয়েছিল ‘ভাইব্রেনিয়াম ফেয়ারি রাসে’।
সম্প্রতি সেই গোত্রেরই আরও একটি নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলেছে মালদ্বীপে। দেশটির জাতীয় ফুলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার নাম রাখা হয়েছে ‘রোস-ভেইল্ড ফেয়ারি রাসে’। সাধারণ ভাবে এই মাছগুলোর গায়ের রঙ বেগুনি হলেও, মালদ্বীপে খুঁজে পাওয়া মাছটি গোলাপি রঙের।
আবিষ্কারের পর থেকেই সেখানকার মেরিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সেটিকে নিয়ে নানা গবেষণা শুরু করেছেন। আর সেই গবেষণাতেই উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। আর সেটি হচ্ছে জন্মানোর সময় এই মাছ স্ত্রীলিঙ্গের হলেও, বয়স বাড়লে এর দেহে লিঙ্গ পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ একটি স্ত্রী মাছ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই পরিণত হয় পুরুষ মাছে। অন্তত এই মাছের ডিএনএ পরীক্ষা করে তেমনটা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু কী কারণে এমনটা হয়, সে বিষয়ে এখনও চলছে গবেষণা। এমন আশ্চর্য প্রজাতির উপস্থিতি কীভাবে এতদিন মানুষের চোখের আড়ালে ছিল? সেই প্রশ্নেরও উত্তরে গবেষকরা বলছেন, সাগরের প্রায় ১৫০ ফুট গভীরে বাস করে। আর সাগরের গভীরে এমনই আরও বহু অজানা প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে, যা সামনে এলে মানুষ বিস্মিতই হবে। সূত্র : ডেইলি মেইল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।