লাইফস্টাইল ডেস্ক : নিজ বয়সের চেয়ে কতখানি বেশি বয়সির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো যাবে, তার সামাজিক একটি নিয়ম রয়েছে। বয়সের ব্যবধান বেশি থাকলে, সেই সম্পর্ককে সমাজে সুদৃষ্টিতে দেখা হয় না, অসম বয়সের সম্পর্ক প্রায়ই বিতর্কের ঝড় তুলে।
সম্পর্কে জড়ানোর বেলায় বয়সভিত্তিক নির্দিষ্ট প্যারামিটার মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী, আপনার বয়সকে দুই দিয়ে ভাগ করে তার সঙ্গে ৭ যোগ করে সঙ্গীর সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম বয়স বের করুন।
উদাহারণস্বরূপ: যদি আপনার বয়স ৩২ হয়, তাহলে আপনি ২৩ বছরের কম বয়সি কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারেন। বয়সের এই ব্যবধানটা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। একইভাবে সঙ্গীর সর্বোচ্চ বয়স হিসাব করতে আপনার বয়স থেকে ৭ বিয়োগ করুন। ফলাফলকে দ্বিগুণ করলেই পেয়ে যাবেন সর্বোচ্চ বয়সসীমা। আপনার বয়স যদি ৩২ হয়, তাহলে হিসাব অনুযায়ী আপনার সঙ্গীর সর্বোচ্চ বয়স ৫০ হওয়া উচিত।
এই নিয়মটি ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম নয়। ফলপ্রসূ সম্পর্কের জন্য সহায়ক একটি গাইডলাইন মাত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ডেভিড বেনেটের মতে, ‘এই নিয়ম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে থাকতে সহায়তা করবে, যা আপনার সঙ্গে আপনার সঙ্গীর অধিক কমন ইন্টারেস্ট নিশ্চিত করবে এবং সঙ্গীর সঙ্গে ভাব বিনিময়ে সহায়ক হবে।’
‘তবে আপনি যদি নিয়মের বাইরের এমন কাউকে পান যা আপনাকে খুশি এনে দেয়, তাহলে আমি বলবো প্রত্যাখান না করে তার সঙ্গে জীবনে অগ্রসর হোন।’ বলেন ডেভিড বেনেট।
আরেকজন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ড. ক্যারোল রোডেরিক বলেন, তিনি ক্লায়েন্টদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে এই নিয়ম অনুসরণ করার পরামর্শ দেন না, তবে তিনি যুগলের মধ্যকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে ভালোমতো ভেবে দেখতে উৎসাহিত করেন। তার মতে, অনেক বেশি বয়সের ব্যবধানের সঙ্গীর সঙ্গে প্রেম করার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দিক হলো-দুজনের মধ্যে কমন ইন্টারেস্ট খুঁজে না পাওয়া। দীর্ঘসময়ের ব্যবধান হওয়ায় এতদিনে হয়তো আপনাদের লক্ষ্য ও জীবনাচারে বিস্তর পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে।
বয়সের এই নিয়মটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে এটি সবসময় সঠিক হবে মনে করা উচিত নয় বলে জানান ড. ক্যারোল। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বয়স-অর্ধেক-প্লাস-সেভেন নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে জেনে রাখুন যে, এটি নিখুঁত নাও হতে পারে বা সত্যিকারভাবেই বয়সসম্পর্কিত সম্পর্কের আয়না নাও হতে পারে।’
তবে এটাও লক্ষ্যণীয় যে ২০১৪ সালে সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কের এক গবেষণায় দেখা যায়, যুগলদের মধ্যকার বয়সের ব্যবধান যত বেশি, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা তত বেশি। যেখানে ৫ বছর বয়সের ব্যবধানের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ, সেখানে ১০ বছর ব্যবধানে ৩৯ শতাংশ এবং ২০ বছর ব্যবধানে ৯৫ শতাংশ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা রয়েছে।
খোলা আকাশের নীচে নীরাহুয়ার রাগ ভাঙিয়ে উদ্দাম রোমান্সে মাতলেন আম্রপালি
বয়সের নিয়মটি আপনাকে পুরোপুরি মেনে চলতে হবে না। তবে এটি আপনাকে একটি মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সঠিক বয়সি সঙ্গী নির্বাচনে সহায়তা করতে পারে।
তথ্যসূত্র: বেস্ট লাইফ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।