খেলাধুলা ডেস্ক : বরাবরের নির্জীব ও খানিক বোলিং সহায়ক শেরে বাংলার উইকেট হয়ে গেছে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি! দর্শক, ভক্ত-সমর্থকরা চার-ছক্কার অনুপম প্রদর্শনী দেখে সন্তুষ্ট। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও খুশি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, প্রধান নির্বাচক ও বর্তমানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আগেই বলেছিলেন, ‘এবার উইকেট ভাল থাকবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেরে বাংলার প্রেস বক্সে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ফারুক বলেন, ‘শুধু দর্শক বিনোদন, পরিতৃপ্তির কারণেই নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মঙ্গল, কল্যাণ ও উন্নতির জন্যই ভাল উইকেটে খেলা হওয়া জরুরি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসের উইকেটের উদাহরণ টেনে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘উইকেট ছিল দারুন ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। ব্যাটাররা ইচ্ছেমত ব্যাট করতে পেরেছেন। স্বচ্ছন্দে খেলার পাশাপাশি ফ্রি ব্যাট চালানো গেছে। আমরা দেশেও, বিশেষ করে বিপিএলেও তেমন উইকেট চেয়েছিলাম। যেখানে প্রচুর রান উঠবে। একদম ব্যাটিং বান্ধব পিচ হবে। ব্যাটাররা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবে।’
ফারুকের উপলব্ধি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ঠিক এমন পিচ দরকার। তবে সেটা প্রথম শ্রেণি বা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে নয়। দীর্ঘ পরিসরের জন্য ভিন্ন ধরনের উইকেট তৈরির কথা জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘একদিনের সীমিত ওভারের পিচগুলো পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব করে তোলা উচিৎ।’
ফারুক যোগ করেন, ‘উইকেট ভাল হলে ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে খেলা সহজ হয়। তারা ফ্রি হয়ে সাবলীল ব্যাট করতে পারেন। রান করতেও পারেন। স্কোরলাইন হয় বড়। তখন বড় স্কোর গড়ার মানসিকতা তৈরি হয়। আবার বিগ স্কোর তাড়া করার অভ্যাসটাও জন্মায়।’
শুধু ব্যাটারদের জন্যই যে ভাল উইকেটে খেলা অনুষ্ঠান দরকার, তা নয়। বিসিবি সভাপতির কথা, ‘ব্যাটিং উইকেট হলে যে শুধু ব্যাটাররাই উপকৃত হবেন, তাদের শটস খেলার সামর্থ্য বাড়বে, বিগ ইনিংস গড়ার অভ্যাস জন্মাবে, তা নয়। পাশাপাশি বোলারদেরও উন্নতি করার তাগিদ জন্মাবে।’
কুড়িগ্রামে বিছানা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় নিখোঁজ আদিবা, একদিন পর মিললো মরদেহ
‘খুব ভাল উইকেটে ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল উইলোবাজি ঠেকাতে বোলাররাও স্কিল ডেভেলপ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। বোলাররা তখন বুঝবে, ব্যাটিং উইকেটে কার্যকর হতে গেলে নিজেকে উন্নত করা ছাড়া পথ নেই। তখন ব্যাটারদের উত্তাল ব্যাটিং থামাতে বোলাররাও মনোযোগি হবে। তাতে তাদের মান উন্নত হবে। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই করবে সমৃদ্ধ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।