বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : এবার উড়ন্ত ট্যাক্সি উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিলের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমব্রেয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইভ’। যেটি ২০২৬ সাল নাগাদ বাজারে ছাড়ার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাও পাওলোর কাছে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত ট্যাক্সি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ব্রাজিলের এমব্রেয়ার।
উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক এই উড়ন্ত ট্যাক্সি উৎপাদনের জন্য ব্রাজিলের অর্থনৈতিক রাজধানী সাও পাওলো থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে তাউবেত শহরে একটি নতুন কারখানা স্থাপন করা হবে। ২০২৬ সালে এটি বাজারে ছাড়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমব্রেয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইভ এই উড়ন্ত ট্যাক্সিটি উৎপাদন করবে, যা দেখতে অনেকটা ছোটখাটো হেলিকপ্টারের মতো হবে। এই ট্যাক্সিতে সর্বোচ্চ ছয়জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
প্রতি ট্রিপে যাত্রীপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ ডলার ভাড়া পড়বে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইভ জানিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার উড়ন্ত ট্যাক্সি উৎপাদনের অর্ডার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর থেকেই এই উড়ন্ত ট্যাক্সির একটি প্রোটোটাইপ বা প্রাথমিক নমুনা তৈরি করতে চায় তারা।
এদিকে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে এ ধরনের উড়ন্ত ট্যাক্সির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো দেখতে এই ট্যাক্সিটি উড্ডয়নে কোনো রানওয়ের প্রয়োজন হবে না। তবে এটি বিমানের মতো দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। তা ছাড়া এটিতে বৈদ্যুতিক মোটর থাকায় এই ট্যাক্সিতে একটি স্ট্যান্ডার্ড উড়োজাহাজের তুলনায় কম শব্দ ও দূষণ হবে।
এই বাহনটি গ্রাহকদের জন্য খুব একটা ব্যয়বহুল না হয়ে জনাকীর্ণ শহরে যানজট কমাতে সহায়তা করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এটিকে কার্গো বা পণ্য পরিবহনের বিকল্প হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ড্রোনের মতো যাত্রীবাহী যানগুলো প্রাথমিকভাবে ট্যাক্সি বহরে ব্যবহার করা হবে। প্রথম দিকে বা প্রথম ফ্লাইটে একজন পাইলটের দরকার পড়লেও পরবর্তী সময়ে পাইলট ছাড়া অর্থাৎ চালক ছাড়াই পরিচালিত হবে এমন যানবাহন তৈরির পরিকল্পনা করছে ইভ।
এর আগে ২০২৬ নাগাদ ফিউচারিস্টিক সিটি-স্টেট আরাবিয়ান পেনিনসুলাতে উড়ন্ত ট্যাক্সি ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল দুবাই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম টুইট বার্তায় উড়ন্ত ট্যাক্সি প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
উড়ন্ত ট্যাক্সিগুলোর ভাড়া দুবাইয়ের লিমুজিন পরিষেবার মতোই হবে বা তার থেকে কিছুটা বেশি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, লিমুজিন ভাড়ার হার শহরের ট্যাক্সি ভাড়ার তুলনায় কম করে হলেও ৩০ শতাংশ বেশি। ট্যাক্সির ন্যূনতম ভাড়া প্রায় ৩ দশমিক ২৫ ডলার আর প্রতি কিলোমিটার চার্জ শূন্য দশমিক ৫০ ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।