জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুরে ভালো ফলন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণসহ কৃষককে লাভবান করতে ব্রি ধান-১০৫ কর্তন উপলক্ষে সোমবার (১০ জুন) ছোনকা এলাকায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সিরাজগঞ্জের বাস্তবায়নে ও পার্টনার প্রকল্প বি অঙ্গের অর্থায়নে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর উপজেলাঅতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আদিল বাদশাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীর কথা চিন্তা করে স্বল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন পুষ্টিকর ব্রি ধান-১০৫ ‘ডায়াবেটিক ধান’ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। নতুন এই ধানচাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। যার বাজার মূল্য বেশিও পাওয়া যাবে এবং এই ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে দাবি কৃষি বিজ্ঞানীদের।
দেশে যেন কখনও খাদ্য ঘাটতি দেখা না দেয়। সেজন্য উচ্চ ফলনশীল নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-১০৫ থেকে পাওয়া চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং সে কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে।
‘ডায়াবেটিক ধান’ আবাদকৃত কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ১ বিঘা জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি ধান-১০৫ প্রদশর্নী প্লট হিসাবে আবাদ করেছি। এই ধানে রোগবালাই নেই বললেই চলে। একই খরচে অন্য জাতের চেয়ে এই ধানের ফলনও বেশি। বিঘা প্রতি ফলন ২৫ মণ (কাঁচা) পেয়েছি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম এম শাহরিয়ার তন্ময়,শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইফতিখার রসুল সিদ্দিকী, বগুড়া জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, চান মিয়া, কৃষক কইল উদ্দিন শেখসহ বিভিন্ন কৃষক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।