এবার বিএসএফের উপর ক্ষেপলেন মমতা

মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিএসএফের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের খুনের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গ্রামের ভিতরে ঢুকে মানুষজনকে গুলি করে ‘ওপারে’ ফেলে দিচ্ছে বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে এখনও বিএসএফের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

মমতা

বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কুচবিহারের পুলিশ কর্মকর্তার সাথ কথা বলার সময় বিএসএফ নিয়ে ‘সতর্ক’ করে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘তুমি একটা জিনিস লক্ষ্য রেখ, তোমাদের (অনুমতি) ছাড়া ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফকে ঢুকতে দেবে না। তার কারণ হচ্ছে, ওরা ঢুকেই গ্রামের লোককে গুলি করছে এবং ওপারে ফেলে দিয়ে আসছে। এরকম অনেক কেস আমাদের কাছে এসেছে। কুচবিহারে পরপর এরকম ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএসএফকে বলো, ওরা যা অপারেশন করবে, স্টেট পুলিশকে জানিয়ে করবে।’

গত বছর কোচবিহারের সিতাইয়ে মৃত্যু হয়েছিল একাধিক ব্যক্তির। সেই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। বিশেষত সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফের প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার আবহে সেই বিতর্ক আরও বেড়েছিল। বিএসএফের সেই এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন জেলার কর্তাদের ‘সতর্ক’ করেছিলেন মমতা।

কয়েক টুকরো কাগজ দিয়ে তৈরী খোলামেলা পোশাক পড়লেন উরফি

সেই ঘটনার রেশ ধরেই সম্ভবত বুধবার মমতা বলেন, ‘এপারে মেরে ওপারে ফেলে দেয়। আগের কেসটায় তাই করেছিল। লোকটা কুচবিহারের ছিল। বাংলাদেশের ছিল না। তোমরা আমায় প্রথম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলে যে বাংলাদেশের (লোক) ছিল। না, বাংলাদেশে ফেলে দিয়ে এসেছিল (বিএসএফ)। তোমরা জানো, একবার চারজনকে মেরে জলপাইগুড়িতে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমি ধরেছিলাম। কারণ আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম। আমি জানি, ডেডবডি কিভাবে ফেললে তার কী আকার হয়। হাতেনাতে ধরেছিলাম। জলপাইগুড়ির দুর্ঘটনা নয় এটা।’