আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সীমান্ত সেনারা পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহারের কথা জানায়।
বিএসএফের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় সফলভাবে একটি ‘অনন্য অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বিএসএফ সৈন্যরা ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারিদের হাত থেকে তিনটি গবাদিপশু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
বিএসএফের এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া একটি পোস্টে অপারেশনের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি কৌশলগত এবং প্রশংসনীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে 6 bn@BSFNBFTR–এর সৈন্যরা নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে সফলভাবে একটি অনন্য অপারেশন চালিয়েছে। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারিদের হাত থেকে তিনটি গবাদিপশু উদ্ধার করেছে তারা।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মানবপাচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর সন্ধানে অভিযান শুরুর কয়েক দিন পরে বিএসএফের এই ‘অনন্য অভিযান’ পরিচালিত হলো। বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে গত ৮ নভেম্বর কাউন্টার টেরোর এজেন্সি এ অভিযান পরিচালনা করে।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ এবং বসতি স্থাপনে জড়িত অবৈধ মানবপাচারে জড়িত নেটওয়ার্কগুলো ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।
এর আগে গুয়াহাটি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং জয়পুরের এনআইএ শাখায় চারটি মানবপাচারের মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এরপরে সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ৫৫টি স্থানে একযোগে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে—ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং পদুচেরি।
অভিযানে এনআইএ মানবপাচারকারী চক্রের মোট ৪৪ সদস্যকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে। এর মধ্যে ২১ জন ত্রিপুরার, ১০ জন কর্ণাটকের, পাঁচজন আসামের, তিনজন পশ্চিমবঙ্গের, দুজন তামিলনাড়ুর এবং পদুচেরি, তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানার একজন করে।
অভিযানে এনআইএ মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, পেনড্রাইভ, আধার কার্ড এবং প্যানকার্ডসহ পরিচয়পত্র সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাল নথি জব্দ করে। পাশাপাশি ২০ লাখ রুপির বেশি নগদ অর্থ এবং ৪ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নথিভুক্ত করে। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাসহ অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে অনুপ্রবেশ এবং বসতি স্থাপনের সঙ্গে জড়িত একটি মানবপাচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে মামলাটি সম্পর্কিত বলে জানিয়েছে এনআইএ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।