আন্তর্জতিক ডেস্ক : এক তরুণের মনে নাকি দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় যে, তার মধ্যে সুপারপাওয়ার রয়েছে! আর নিজের সেই বিশ্বাসকে প্রমাণ করতেই হোস্টেলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন ১৯ বছরের ওই তরুণ!
ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। আপাতত হাত-পা ভেঙে বিছানায় জায়গা নিয়েছেন ওই তরুণ। চলছে চিকিৎসা।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটোর জেলার মালুমিচাপট্টি এলাকা সংলগ্ন করপগম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং চত্বরে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ার পর ওই তরুণের হাত ও পায়ের হাড় ভাঙার পাশাপাশি তার মাথায়ও চোট লেগেছে। আপাতত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯ বছরের ওই তরুণের নাম এ প্রভু। তিনি আদতে ইরোডে জেলার পেরুনদুরাইয়ের কাছে অবস্থিত মেক্কুর নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্ট কলেজের বিটেক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রভু পড়াশোনা করছেন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডাটা সায়েন্স নিয়ে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, প্রভু বিশ্বাস করেন যে কল্পবিজ্ঞান বা কমিক্সের সুপারহিরোদের মতো তারও সুপার পাওয়ার আছে। তাই তার মনে হয়েছিল, তিনি অনায়াসেই হোস্টেলের পাঁচতলা থেকে নিচে ঝাঁপ দিতে পারবেন!
প্রভুর রুমমেটদের দাবি, তিনি নাকি মাঝেমধ্যেই তাদের বলতেন যে, তার মধ্যে অলৌকিক শক্তি রয়েছে। এমনকি ওই রুমমেটরা দাবি করেন, গত সপ্তাহেই নাকি তাদের কাছে প্রভু বলেছিলেন, কেউ একজন তার ওপর জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেছেন এবং তার প্রভাব তিনি এড়াতে পারছেন না!
সূত্রের দাবি, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রভু তাদের হোস্টেলের পাঁচতলায় ছিলেন। সেই সময় অন্য শিক্ষার্থীরাও হোস্টেলের পাঁচতলার বারান্দায় গল্পগুজব করছিলেন। হঠাৎই প্রভু পাঁচতলা থেকে সোজা নিচে ঝাঁপ মারেন এবং সরাসরি মাটিতে গিয়ে পড়েন!
এ ঘটনার পর হোস্টেলের ছাত্ররাই প্রভুকে প্রথমে শহরতলীর করপগম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে প্রভুর হাত ও পায়ের একাধিক হাড় ভাঙা থাকায় তাকে রেফার করে দেওয়া হয়।
এরপর তাকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।