জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীসহ সারা দেশে ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিটিআরসি। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই অবকাঠামো শেয়ারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
দেশে যেখানে সেখানে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ বন্ধে ২০১৮ সালে টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা করে সরকার। যার আওতায় চারটি প্রতিষ্ঠান দেশে টাওয়ার নির্মাণ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একটি টাওয়ার দিয়েই বর্তমানে গ্রাহক সেবা দিতে পারছে চার মোবাইল অপারেটর। এতে টাওয়ারের পাশাপাশি কমেছে মোবাইল অপারেটরদের বাড়তি ব্যয়ও।
মোবাইল অপারেটররা পেলেও এই সুবিধা পান না ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা। ফলে অসংখ্য ঝুলন্ত তারের জঞ্জালে ছেয়ে গেছে রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের শহরগুলো।
রাজধানীর ঝুলন্ত তার অপসারণে অভিযান এমনকি আলটিমেটামও দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ অবস্থায় সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মোবাইল অপারেটরদের মতো ইন্টারনেট সেবাদাতাদেরও অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, নির্দিষ্ট এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠান ক্যাবল টানতে পারবে। যা দিয়েই গ্রাহক সেবা দিতে পারবে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো।
তিনি বলেন, হয়তো বাড়িতে গিয়ে আলাদা তার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই যে রাস্তাজুড়ে এত তারের ব্যবস্থা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কষ্ট করে করতে হবে না। আমরা দ্রুত বিবেচনা করে এটা চালু করার ব্যবস্থা করব।
সেবাদাতারা বলছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে শুধু শহরই জঞ্জালমুক্ত হবে না। আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন তার।
সেবাদাতারা বলছেন, এতে পরিচালন ব্যয় কমবে। সুফল পাবেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এ কাজটা যখন একটা বা দুইটা ম্যানেজমেন্টের অধীনে চলে যাবে, তখন দেখা যাবে অটোম্যাটিকলি আমাদেরও মেইনটেন্যান্স খরচ কমে যাবে। এতে আমাদের যদি কিছু টাকা সঞ্চয় হয়, তবে সেটার ক্ষেত্রে হয়তো আমরা ব্যান্ডইউথ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারব।
আইএসপিএবির হিসাবে, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।