আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধারকাজে অংশ নেবে ইঁদুর। আর সে লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে চৌকস প্রাণীটিকে। এমন উদ্যোগ নিয়ে সাড়া ফেলেছেন তানজানিয়ার একদল গবেষক। খবর রয়টার্সের।
মূলত দুর্যোগের পর নিখোঁজ ভুক্তভোগীদের খুঁজে বের করবে এই ইঁদুরগুলো। প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি ইঁদুরের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাবে দেশটির জরুরি বিভাগ।
উদ্ধার বা নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় কুকুরের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। তবে ইঁদুরকে এমন কাজে লাগানোর অভিনব আইডিয়া ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে দেশটিতে। প্রশিক্ষকরা মনে করছেন, চৌকস আর কৌশলী ছোট্ট প্রাণীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জরুরি বিভাগের কাজে।
তানজানিয়ার গবেষক ড. ডোনা কিয়ান বলেন, এমন অনেক সূক্ষ্ম জায়গা আছে যেখানে কুকুরের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব না। যেমন- ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে কুকুরের চেয়ে সহজে পৌঁছাতে পারে ইঁদুর। মূলত এখান থেকেই ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টি মাথায় আসে। ওদের ঘ্রাণশক্তিও কুকুরের মতই প্রখর। আচরণেও বেশ চৌকস।
উদ্ধারকাজে ব্যবহার হওয়া ইঁদুরগুলো মূলত আফ্রিকা অঞ্চলের। দীর্ঘায়ু এবং শারীরিক গড়ন বিবেচনায় ‘আফ্রিকান জায়ান্ট পাউচ’ নামের এই জাতটিকে বেছে নেয়া হয়েছে।
ট্রেইনি ইঁদুরগুলোর ঘ্রাণশক্তিকে মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন গবেষকরা। গন্ধ শুকে যখন টার্গেটের কাছে পৌঁছে যাবে ঠিক সেসময় তাদের শরীরে যুক্ত ক্যামেরা আর মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করবেন উদ্ধারকারীরা। জেনে নেবেন তাদের অবস্থান।
ডিভোর্সি পুরুষের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ভারতের সাবেক বিশ্ব সুন্দরী
ড. ডোনা কিয়ান বলেন, টার্গেট খুঁজে বের করার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ইঁদুরগুলোকে। ধ্বংসস্তূপের মাঝে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমরা চেষ্টা করি একদম বাস্তব পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। যাতে আসল সময়ে ধারণাগুলো মিলিয়ে নিতে পারে। উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক দেশে মাইন খোঁজার কাজে ব্যবহার করা হয় ইঁদুর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।