জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৯ জুলাই ছিল ভয়ংকর একটি দিন। রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন একাদশ শ্রেণির ছাত্র ফয়জুল ইসলাম রাজন। তার বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায় বুলেট। ক্ষতচিহ্ন রেখে যাওয়া টি-শার্ট জড়িয়ে এখনও ডুকরে কাঁদেন তার মা।
আদরের ছোটভাইয়ের মরদেহ নিজ হাতে গোসল করানোর মুহুর্তটা এখনো ভুলতে পারছেন না মো. রাকিব। তিনি বলেন, আমি এবং মহল্লার একজন ভাইয়ের মরদেহ গোসল করানোর সময় আমার মাথা ঘুরেছে। ছোট ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ মরদেহ গোসল করাতে কষ্ট হয়েছে। এরপরেও আমি আমার চোখ ঢেকে নিজ হাতে ভাইকে গোসল করিয়েছি। ভাই হারানোর বেদনা কত কষ্টের তা বুঝাতে পারবো না। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজ একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন রাজন। একটি দোকানে কাজ করে যোগাড় করতেন নিজের লেখাপড়ার খরচ। ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে ছাত্র আন্দোলনে নামলে পুলিশের গুলি ভেদ করে রাজনের বুক।
রাজনের মা বলেন, গুলিটা বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। ঘটনার দিন আমার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই আজোয়া হাসপাতালে রাত দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে লাশ নিয়ে আসে। আমি এই হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নে উত্তর বাহেরচর এলাকায় রাজনের মায়ের সংসার। ৯ বছর আগে স্বামী আরেকটি ঘর বাধায় তিন সন্তান নিয়ে চলছিল তার জীবন সংগ্রাম। ছোট ছেলের মৃত্যুর পর কিছুদিন আগে চাকরি হারিয়েছেন বড় ছেলেও।
‘হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা যত খুশি মূর্তি বানান, আমরা পাহারা দেব’
রাজনের মৃত্যুতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ও নানকসহ ২৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোটে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন একজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।