জুমবাংলা ডেস্ক : গত বছরের তুলনায় এ বছর ঝড়-বৃষ্টি তেমন না থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লিচুর মৌসুমের শুরুতে গাছে-গাছে লাল আর গোলাপি রঙের এই জাতের লিচুগুলোর দাম আরও একটু বেশি হবে বলে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান।
তাই গাছের লিচু বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন বাগান মালিকরাও। বুধবার (১৮ মে) সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি লিচু বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা লিচু পাড়ছেন। গেল ঈদুল ফিতরের পর থেকে লিচু বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বেশিরভাগ বাগান অনেকটা ফাঁকা। সোনারগাঁ থানার কয়টি ইউনিয়নে লিচুর বাগান রয়েছে।
তবে সোনারগাঁ পৌরসভা ইউনিয়ন এই সবচেয়ে ভালো মানের লিচু পাওয়া যায়। পৌরসভা ইউনিয়নের লিচুর দাম একটু বেশি হলেও এখানকার লিচু অন্যসব ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটাই ভালো বলে দাবি করেছেন ওই ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিকরা। বৈশাখের শুরু থেকেই বাজারের বেশ চাহিদা রয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফলের। তেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বেল, তরমুজ, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি ফলের।
সোনারগাঁয়ের লিচু বাগান মালিক মনির হোসেন জানান, তার বাগানে ১৬টি গাছ রয়েছে। এক একটি গাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার পিস লিচু পাওয়া যাবে। খুচরা পাইকারি থেকে শুরু করে আরও বাগান থেকে লিচু পেড়ে নিয়ে যান। প্রতি হাজার পিস লিচু ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
বাগান মালিক রুহুল আমিন মীরু জানান, আমার বাগানে ১০টি গাছ রয়েছে আমি এবার ভালো ফলন পেয়েছি। আমার গাছের লিচুর এর সাইজ ভালো ছিল। তাই আমি প্রতি ১শ পিস লিচু সাড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করেছি। বাগান পাহারাদার মাইনুদ্দিন জানান, নিচু বড় হওয়ার পর থেকেই আমি বাগানে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। যাতে কেউ গাছ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য দিনরাত আমি এখানেই থেকে পাহারা দেই। প্রতিদিন পাহাড়ের জন্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই।
বাংলাদেশের সেরা পরিচিত লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে- দেশি লিচু, চায়না ৩, বোম্বাই, বারি লিচু মোজাফ্ফরপুরী, মঙ্গলবারী, বেদানা, এলাচ এদেশে এটাই সর্বোত্কৃষ্ট ইত্যাদি জাতের লিচু পাওয়া যায়। বাংলাদেশের রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, ময়মনসিংহ, ঢাকার সোনারগাঁ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় লিচুর চাষ হলে দিনাজপুরে উৎপাদিত লিচুকেই দেশের সেরা লিচু বলে দাবি করেন সেখানকার চাষিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।