জুমবাংলা ডেস্ক : সাধারণত ১৪০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যে ধান উৎপাদন হয়। তবে সেই ধান যদি ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়, সেটি বিরাট সম্ভাবনাময়। আর ‘ব্রি৯৮’ আউশ ধান সেই সম্ভাবনাই নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, নতুন জাতের এই ধান ৯০-১০০ দিনে উৎপাদন হচ্ছে; ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ। এ জাতটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মুশুদ্দি গ্রামে ব্রি৯৮ জাতের আউশ ধানের ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বার বার ফসল ফলাতে হবে, বেশি করে ফসল ফলাতে হবে।’
উন্নত জাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বোরো ও আমনের চাষ বেড়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন। ব্রি৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এ জাতটি মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে। একইসঙ্গে, এটি লাভজনক ফসল হিসাবে কৃষকের হাসিকে আরও চওড়া করবে।’
একই জমিতে বছরে চারটি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান কৃষক ইকবাল। তিনি জানান, ব্রি৯৮ জাতের এই আউশ ধানটি ২০ দিনের চারাসহ মোট ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এই জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনের ব্রি৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন সরিষার আবাদ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।