জুমবাংলা ডেস্ক : মধুখালীর জাহাপুরে লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। গত কয়েক দশক ধরে এই উপজেলায় লিচুর চাষ হচ্ছে। খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার লিচুর বেশ সুনাম রয়েছে। জাহাপুরের কৃষকদের লিচু চাষে লাভবান হতে দেখে আশপাশের আরো অনেকগুলো গ্রামের কৃষকরাও লিচু চাষ করছেন।
জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের জাহাপুর, দপ্তরদিয়া, টেংরাকন্দি, মনোহরদিয়াসহ প্রায় সবগুলো গ্রামেই লিচুর চাষ করা হচ্ছে। কৃষকরা ফসলি জমিতে ও বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগিয়ে লিচুর চাষ করছেন। এইসব গ্রাম গুলোতে মোজাফফরপুরী জাতের লিচুর চাষ বেশি হয়। বর্তমানে কৃষকের গাছে ছোট-বড় লিচু ঝুলছে। এই মাসের শেষে ও আগামী মাসের শুরুর দিকে লিচু সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হবে। সুনাম থাকায় এখানকার উৎপাদিত লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলতি বছর জাহাপুরে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। হেক্টর প্রতি ৯-১০ টন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দস্তুরদিয়া গ্রামের শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমাদের এলাকায় প্রায় আড়াইশত পরিবারের বসবাস। প্রতিটি পরিবারেরই লিচুর বাগান রয়েছে। এখানকার লিচুর কদর দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া কম বেশি সবাই চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
আরেক চাষী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে আমাদের হাটে নিয়ে বিক্রি করতে হতো। এখন পাইকাররা বাগান থেকেই লিচু কিনে স্থানীয় বাজার ও দেশে বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে থাকেন।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান বলেন, এই অঞ্চলের লিচুর কদর বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর ৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে। হেক্টর প্রতি ৯ টন লিচু উৎপাদন হলেও এবছর আরো বাড়তে পারে। ভাল ফলনের পাশাপাশি বাজারদর বেশি থাকে বলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, জেলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। এখানকার লিচুগুলা বেশ রসালো ও মিষ্টি। তাই এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আশা করছি আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।