বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মোটরসাইকেল থামানোর জন্য কোম্পানিগুলো দুই ধরনের ব্রেকিং সিস্টেম দিয়ে থাকে। একটি ড্রাম ব্রেক। যা অনেক পুরনো পদ্ধতি। অন্যটি ডিস্ক ব্রেক। যা এখনকার আধুনিক বাইকগুলোতে দেখা যায়। সাধারণত দুই চাকায় থাকে ডিস্ক ব্রেক। এছাড়াও সম্প্রতি ব্রেকিং সিস্টেম উন্নত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস।
এই দুই ব্রেকিং সিস্টেমের মধ্যে বেশ খানিকটা তফাৎ রয়েছে। দুই ব্রেকেরই কাজ আলাদা। কিন্তু প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী, যদি ভুল ব্রেকিং সিস্টেমের বাইক কিনে বসেন তাহলে ক্ষতি আপনারই। তাই চটফট দুই ব্রেকের মধ্যে পার্থক্য কী জেনে নেওয়া যাক।
ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেকের মধ্যে পার্থক্য
শোরুমে বাইক কিনতে গেলেন। সেখানে কর্মচারী বলল, তাদের কাছের আপনার পছন্দের বাইক বা স্কুটির দুই ধরনের ভেরিয়েন্ট আছে – ডিস্ক এবং ড্রাম। ড্রাম ব্রেকের দাম সাধারণত কম হয়। আর দাম কম শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অধিকাংশ মানুষ। এ ক্ষেত্রে দুই ব্রেকের কাজের ফারাক জানলে পুরো বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে আপনার কাছে।
বাইকে ড্রাম ব্রেক কী, কীভাবে কাজ করে?
বর্তমানে সব ১০০-১২৫ সিসির বাইকেই এই ব্রেকিং সিস্টেম দেখা যায়। যা ব্রেক শুয়ের সাহায্যে পরিচালিত হয়। এই ব্রেকের একটি ভালো দিক হল, এটি রক্ষণাবেক্ষণ করে দীর্ঘ সময় অবধি চালানো যায়। তাছাড়া ড্রাম ব্রেকের দাম ডিস্ক ব্রেকের থেকে ১০ হাজার টাকা কম হয়।
ড্রাম ব্রেকের মোটরসাইকেলগুলোতে সহজেই শক্তি পরিচালনা করা যায় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সম্পূর্ণ সুযোগ দেয়। তবে কম খরচ, মেইনটেনেন্স হলেও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে।
মোটরসাইকেলের ড্রাম ব্রেকের অসুবিধা
ড্রাম ব্রেক খুব তাড়াতাড়ি গরম হতে শুরু করে।
উচ্চ গতিতে গাড়ি চালালে ব্রেক ওভারহিট করতে পারে।
গরম হওয়ার কারণে ব্রেক সামান্য প্রসারিত হয়।
ব্রেক শু ভিজে গেলে বা জং ধরলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
জোরে বাইক চালানোর সময় বাইকের টায়ার স্কিড খেতে পারে।
বাইকে ডিস্ক ব্রেক কী, কীভাবে কাজ করে?
১২৫ সিসি বা তার বেশি সমস্ত বাইক এবং স্কুটারে পাওয়া যায় ডিস্ক ব্রেক। এতে একটি ডিস্ক প্লেট লাগানো থাকে। এই ব্রেকের সুবিধা হল এতে বেশি বল প্রয়োগ করতে হয় না। খুব সহজে ভালো ব্রেকিং পাওয়া যায়। এছাড়াও ডিস্ক ব্রেক চট করে গরম হয় না।
উচ্চ গতিতে দীর্ঘক্ষণ বাইক চালালেও মসৃণ ব্রেকিং পারফরম্যান্স দেয়। বাইক ভিজে গেলেও এটি ড্রাম ব্রেকিং তুলনায় ভালো কাজ করে। চাকা স্কিড খায় না, আচমকা ব্রেকিংয়েও চালকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ড্রাম ব্রেকের মতো ডিস্ক ব্রেকেরও কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম হল খরচ। ডিস্ক ব্রেকের বাইক বা স্কুটি কিনলে এক লাফে তার দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি ডিস্ক ব্রেকের ব্রেক প্যাডগুলো ড্রাম ব্রেকের তুলনায় তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়।
ব্রেক প্যাডে ব্রেক পিস্টনের শক্তিশালী স্কুইজিং মোশনের কারণে এমন ঘটে। ফলে ব্রেক প্যাডের আয়ু কমে যায়। এছাড়াও ভুল ইন্সটলেশনের কারণে ডিস্ক ব্রেকে সমস্যা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।