আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দূধ হচ্ছে সুষম খাদ্য যা অত্যন্ত উপকারী। বিষয়টি এটা নয় যে গ্রাম থাকলেই সবাই গ্রামের ধারা টানতে পারবে কিনা কিন্তু দুধের কেটলিতে সাইকেলের গাড়ির সাথে জোড়া এবং ডেইরিতে গিয়ে দুধ দেওয়ার কাজ আমরা অনেকেই করেছি। এছাড়া আপনি নিশ্চয়ই স্কুলে দুধের বন্যা বা শ্বেত বিপ্লবের কথা পড়েছেন।
কৃষির পরিপূরক এই ব্যবসা কীভাবে গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনেছে সে সম্পর্কে আমাদের সকলের মোটামুটি ধারণা রয়েছে ।
দুধের ব্যবসায় দুধ উৎপাদনকারী কৃষক থেকে শুরু করে গোয়ালঘরে কাজ করা শ্রমিক, দুধ ট্রান্সপোর্টকারীরা, ডেয়ারী মালিক, দুধ প্রক্রিয়াজাতকারী উদ্যোক্তা সবাই দুধ থেকে উপার্জন করেছেন। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেকেই এই দুধ ব্যবসার জন্য ছোট হাতি, পিকআপ, টেম্পো, সুমো, বিচ্ছু ইত্যাদি যানবাহন কিনেছে।
কিন্তু আপনি শুনেছেন আজ পর্যন্ত যে কেউ দুধের ব্যবসার জন্য হেলিকপ্টার কিনেছেন। কী অবাক হলেন? আজ এই আর্টিকেলে আমরা এমনই এক আউলিয়ার দুধ ব্যবসায়ীর কথা আপনাদেরকে জানাবো।
বলা হয়ে থাকে যে ‘বাড়ির কোনো মূল্য হয় না’, যার একটি উদাহরণ বাস্তব অনুভব করা যেতে পারে, ভারতের মহারাষ্ট্রের মাটিতে তা হয়েছে। ভিওয়ান্ডির একজন দুধ ব্যবসায়ী জনার্ধন ভইর তার দুধের ব্যবসার জন্য ৩০ কোটি টাকার একটি হেলিকপ্টার কিনেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে জনার্দন ভৈর কৃষির পাশাপাশি একজন রিয়েল এস্টেট পেশাজীবী।
তার অনেক গুদামও রয়েছে। ভিওয়ান্ডিতে তার দুধের বড় ব্যবসা রয়েছে। দুধের ব্যবসার জন্য ভৈরদের প্রায়ই হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট বা কখনো কখনো বিদেশে যেতে হয়। এর ফলে তার অনেকটা সময় ব্যয় বা নষ্ট হতো। তাই তিনি নিজের হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নেন।
হেলিকপ্টার কেনার পর বাড়ির পাশে আড়াই একর জমিতে নিজের ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড তৈরি করেন। এছাড়া একটি পাইলট ও টেকনিশিয়ান রুমও নির্মাণ করেন তিনি। হেলিকপ্টার আসার পর তিনি আশেপাশের লোকজনকে তাতে বসিয়ে একটি রাউন্ড নেন। দুধের ব্যবসার জন্য তিনি যে হেলিকপ্টার কিনেছেন তা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।