লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজার থেকে ডিম কিনে সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন অনেকে। উদ্দেশ্য থাকে ফ্রিজের নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় ডিম ভালো রাখা। জানলে অবাক হবেন, আসল গণ্ডগোলটা সেখানেই হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রিজে রাখা সেই ডিম আর পুষ্টিকর থাকছে তো? ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্যরও বেশ নীচে থাকে বলে এখানে খাবার-দাবার রাখা যায়। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক উল্টো। ফ্রিজে ডিম রাখলে তার মধ্যে এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।
ফ্রিজে তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটায় ওই সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে জীবিত অবস্থাতেই থাকে। যারমধ্যে রয়েছে সালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া। এটি খাদ্যবাহিত রোগের জন্য দায়ী। মুরগির মতো বিভিন্ন পশু-পাখির পরিপাকতন্ত্রে এই ব্যাকটেরিয়া থাকে।
এরফলে খাবারে বিষক্রিয়া বা নানা রকমের সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকি গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
পেটের সমস্যাও হতে পারে এর থেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়
অনেক ক্ষণ রেখে ডিম রান্না করলে বিপদের ঝুঁকি খানিকটা কমে। বিশেষজ্ঞদের দাবি ফ্রিজে রাখা ডিম দীর্ঘদিন পর খেলে তা থেকে ডায়রিয়াও হতে পারে।
তবে খুব গরম হলে ফ্রিজের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে পারেন ডিম। বাজার থেকে কিনে এনে বেশিদিন জমিয়ে না রাখাই ভালো। তাই ডিম বেশি দিন ফ্রিজে রাখা একদমই ঠিক নয়। ফ্রিজের ডিম থেকে বাড়তে পারে শরীরের নানা সমস্যা।
ফ্রিজে থাকা ডিমের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায় আর ফ্রিজে রাখলেও ভালো করে পরিষ্কার করে রাখবেন। কারণ ডিমের খোসায় ব্যাকটেরিয়ার চিহ্ন থেকে যায় যা এটিকে পাতলা করে। এর থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি এ কারণে ডিম পরিষ্কার করার পরপরই ফ্রিজে রাখতে হবে।
এছাড়াও ফ্রিজে থাকার ফলে ডিমের অন্যান্য খাবারে গন্ধ ডিমে মিশে যায়। ফলে ডিমের স্বাভাবিক গন্ধ ও স্বাদ ফ্রিজে থাকার ফলে বদলে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।