আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে চলছে বসন্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন স্থানগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তবে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এই স্থানগুলোর আবহাওয়ায় ২১০০ সালের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসবে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, জার্নাল অফ ক্লাইমেটে প্রকাশিত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু স্থানের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, এই পরিবর্তন জীবনযাত্রার মান, ভ্রমণ এবং পর্যটন খাতের ওপর ব্যপক প্রভাব ফেলবে। বেশ কিছু স্থানে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মানুষজন বাহিরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না বা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হবেন। ফলে বর্তমানের স্বাভাবিক দিনের তুলনায় ২১০০ সালের দিকে অতিরিক্ত অনেকগুলো দিন খারাপ আবহাওয়ার কারণে হারাবে দেশগুলো।
গবেষণার প্রধান লেখক অধ্যাপক এলফাতিহ এলতাহির বলেছেন, গবেষণার ফল, কীভাবে সারা বিশ্বের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন অনুভব করবে তা নির্দেশ করে। এছাড়াও দিনের বেলাতে মানুষের কার্যক্রম সম্পন্ন করা নিয়েও শঙ্কা তৈরি করেছে। এমআইটির পোস্টডক্টরাল গবেষক এবং গবেষণা দলের সদস্য ইয়েনউ চোই বলেন, রাশিয়া, কানাডা এবং উত্তরের দেশগুলো ভবিষ্যতে বেশ কয়েকটি বেশি দিন উপভোগ করতে পারবে অনেক দেশের তুলনায়। অন্যদিকে আইভরি কোস্টের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেকগুলো দিন হারাবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে।
গ্রীষ্মের সময় সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে ডোমিনিকান রিপাবলিকে। দেশটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে ১২৪ দিনের মত হারাবে কারণ আবহাওয়া খারাপ থাকায় মানুষজন বাহিরে বের হতে পারবেন না। মেক্সিকো, ভারত, থাইল্যান্ড এবং মিশরসহ সমস্ত উত্তর গোলার্ধেও এরকমটা দেখা যাবে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে নষ্ট হবে বছরের ৫৫ থেকে ৮৬ দিন। সংযুক্ত আরব আমিরাতও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বার্ষিক ৮৫ দিন হারাতে পারে দেশটি। বিপরীতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া ২১০০ সালের মধ্যে ১৮ থেকে ৬০ দিন বর্তমানের থেকে বেশি পাবে।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাসটেইনেবল গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের টেকসই পর্যটন পরামর্শদাতা এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও’শ্যানন বার্নস বলেছেন, এই প্রথম তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো তুলে ধরার জন্য এমন একটি গবেষণা দেখেছেন। এটি নির্দেশ করে যে ভ্রমণ খাত জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা কতটা গভীরভাবে প্রভাবিত হতে চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।