বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : শীত যেতে না যেতেই গরম পড়তে শুরু করেছে। গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই বাসা-বাড়িতে এসি লাগান। এদিকে এসি প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করে। চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা সহজ উপায় মেনে চললে যেমন গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তেমনই বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। আসল কথা, এসি, কুলার, পাখার সঠিক ব্যবহার জানতে হবে।
সঠিকভাবে এসির ব্যবহার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি-এর তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখা উচিত। তাহলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। অনেকে বলতে পারেন, ২৬ ডিগ্রিতে কী আর ঘর তেমন ঠান্ডা হবে? এই জন্যই এসি-এর সঙ্গে পাখা চালাতেও বলা হয়। ঠান্ডা বাতাস পুরো ঘরে সঠিকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এসি-এর উপরেও অতিরিক্ত চাপ পড়বে না।
এর সঙ্গে নিয়মিত এসি পরিস্কারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু পরিষ্কার করলে হবে না। প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করতে হবে। ধুলা জমলে এসি-এর কুলিং ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বেশি সময় চালাতে হয়। বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে।
পাখার জন্য ইলেকট্রিক রেগুলেটর
গরমের দিন মানে বাড়িতে সবসময়ই পাখা চলছে। রাতে তো চালাতেই হয়। সকালে বা বিকালেও বন্ধ করার উপায় নেই। তাই নিয়মিত পাখার সার্ভিসিং করানো উচিত। এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা পাখায় ইলেকট্রিক রেগুলেটর ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে বিদ্যুৎ কম পোড়ে। যদি পাখার কনডেনসার বা বল বেয়ারিং খারাপ হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত বদলে ফেলা উচিত। এতে পাখার স্পিড ঠিক থাকবে। বিদ্যুৎও কম খরচ হবে।
কুলারের সঠিক যত্ন
এসির দাম অনেক। রক্ষণাবেক্ষণের খরচও ভালোই। তাই অনেকে এসির বদলে কুলার কেনেন। এগুলোও বিদ্যুতেই চলে। তাই নিয়মিত দেখভাল করা জরুরি। গরমকালে কুলারের পাখা এবং পাম্পে নিয়মিত তেল বা গ্রিস লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে এগুলো মসৃণভাবে কাজ করতে পারে।
কুলারের পাখার কনডেনসার এবং রেগুলেটরও নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত বদলাতে হবে। ইলেকট্রিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে কুলারেও কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে অনেক টাকা বাঁচবে।
এসির গোপন সুইচ
প্রায় প্রতিটি এসিতে ইকো মোড থাকে। এই ইকো মোডে এসি চালালে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।