আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাকরি করলে চলবে না। তাঁদের ইচ্ছে মতো বিয়ে করে নিতে হবে। মেয়ে কিছুতেই রাজি না হওয়ায় তাঁকে শিকল বেঁধে ঘরবন্দি করে রাখলেন বাবা-মা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার ঘুসুড়ি এলাকা থেকে। তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৯ বছর বয়সি আরতি নামের ওই তরুণী কলেজে পড়তে পড়তেই চাকরি করছিলেন। নিউ ব্যারাকপুরের একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু বাবা-মা চাননি মেয়ে চাকরি করুক। বরং তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিক। সেই কারণেই মেয়ে বারণ না শোনায় তাঁর পায়ে শিকল বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে অফিসে আসা-যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছিল। তাই অফিস এলাকাতেই একটি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। বিগত ক’দিন ধরে ট্রেনিং চলছিল। সেটা শেষ করে বাড়ি ফেরার পরই অশান্তি শুরু হয়।
বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ, বাবা-মা তাঁকে চাকরি ছাড়তে জোর করেন এবং বলা হয় তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হবে। পাত্র দেখা হচ্ছে। তাতে আপত্তি করায় তাঁকে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁরা।
মেয়ের এও দাবি, তাঁকে মাঝেমাঝে চাকরি করার কারণে মারও খেতে হয়েছে। কিন্তু তাঁকে বেঁধে রাখার কারণ হিসেবে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন মেয়ের বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, কোম্পানি মেয়েকে ভুল বুঝিয়েছিল। ‘খারাপ’ জায়গায় কাজ করত মেয়ে।
তাঁরা চাননি সে ওই অফিসে চাকরি করুক। শুধু তাই নয়, কোথাও চাকরি না করে বিয়ে করে সংসার করুক। তাই সে কোথাও যাতে বেরতে না পারে, সেই কারণে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁরা।
মালিপাচঘরা থানার পুলিশ শিকল বাঁধা অবস্থাতেই তরুণীকে উদ্ধার করে। তারপর থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাবা-মাকে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় আপাতত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তরুণীর কথায়, তিনি শুধু চান চাকরি করে টাকা উপার্জন করতে। স্বাবলম্বী হতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।