মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হৃদয় হোসেন(২২) নামের এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের নয়াডিঙ্গী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ হৃদয় হোসেন ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সোহবার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা নয়াডিঙ্গী এলাকায় ভু্ক্তভোগীর বাড়ির পিছনের একটি চকে হৃদয় হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আবদুল লতিফের হুকুমে সাইফুল ইসলাম(৫২), মঞ্জু মিয়া(২৫), মো হযরত আলী(২৫) ও মোঃ হাসান আলী(২৪) অতর্কিত ভাবে মারধর করে। এরপর তাদের কাছে থাকা কাঠের বাটাম, লোহার রড় ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হৃদয়কে বেধরক মারধর করে। এসময় হৃদয় ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা হৃদয়কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন এবং বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মারধরের স্বীকার হৃদয় হোসেন বলেন, আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি কিছুই জানি না। আমাগো এলাকার চার-পাঁচজন পোলাপানও ছিল। আমাদের বাড়ির পিছনের চকে গিয়া দেখি ২০ থেকে ৩০ জন পোলাপান। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন এসে আমার হাতে হাতুরি দিয়ে বাড়ি দেয়। এর পর এলোপাথারিভাবে আমাকে মারধর করেছে এবং এক পোলা কোপও দিছে আমার পিঠে। আমি তো ওখানে খোলাসা মনে গেছি, আমার সাথে কারো কোন ঝামেলা নাই। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শান্তির দাবি করেন তিনি।
ধানকোড়া ইউপি সদস্য ও ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ সোহবার হোসেন বলেন, গতকাল ইফতারের পরে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলাম। এ সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে হৃদয়কে কারা যেন মাইরা ফালাই রাখছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, এ বিষয়ে একটি ভুক্তভোগীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।